
ফুটবলে অফসাইড কিংবা বাজে রেফারিং নতুন কিছু নয়। প্রীতি ম্যাচ থেকে শুরু করে বিশ্বকাপের ম্যাচ পর্যন্ত জালিয়াতির অভিযোগ চলে আছে যুগের পর যুগ। তবে এবার সে অভিযোগের পালা বুঝি ফুরাতে এসেছে, নতুন প্রযুক্তির আগমনে সেটির সমাধান খুঁজে পেয়েছে ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা।
বিগত দুই দশকে যার মধ্যে বড়ো দুই সংযোজন এক. ভিডিয়ো অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি, দুই. গোললাইন প্রযুক্তি। এই দুয়ের যোগসূত্রে ফুটবলপ্রেমীদের মনেও এখন তৃপ্তির জোয়ার। হয়তো দল হারলে খারাপ লাগে; কিন্তু আক্ষেপ বা বড়ো কোনো আফসোস আর তাড়া করে না। এমন একাধিক প্রযুক্তির সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যেন এগিয়ে যাচ্ছে আগামীর ফুটবল। সর্বশেষ এই কাতারে যুক্ত হলো ‘সেমি-অটোমেটেড অফসাইড টেকনোলজি’।
২১ নভেম্বর থেকে কাতারে বসবে ফুটবলের মিলনমেলা। যেখানে ফিফার নতুন এক চমক এই প্রযুক্তি। টুর্নামেন্ট শুরুর ঠিক ১৪২ দিন আগে দারুণ এক প্রযুক্তির সঙ্গে ফুটবলবিশ্বকে পরিচয় করিয়ে দিল সংস্থাটি। এতদিন অফসাইড ধরিয়ে দিতে সাদামাটা প্রযুক্তি ব্যবহার করতেন ভিএআর রেফারিরা। তাতে অনেকেই তুলেছেন প্রশ্ন। সেই প্রশ্নের ইতি টানবে অফসাইড প্রযুক্তি। যেমনটা আশা করছেন ফিফার প্রেসিডেন্ট থেকে শুরু করে রেফারিদের হেড পিয়েরলুইজি কলিনা। সবচেয়ে দ্রুত পদ্ধতিতে উদ্ঘাটিত তথ্যও হবে একেবারে নিখুঁত। যেমনটা দাবি করছেন প্রিমিয়ার লিগের এক সময়কার অভিজ্ঞ রেফারি ডেরমটও।
স্কাই স্পোর্টসের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘সংবাদটি খুবই আনন্দের। আপনি যখন এমন একটি প্রযুক্তির সংযোজন দেখবেন তখন ভাববেন, ফুটবলে এটা নিঃসন্দেহে দারুণ অবদান রাখবে। আমার বিশ্বাস, এই প্রযুক্তি খুবই অল্প সময়ে নির্ভুল তথ্যটাই দেবে, যেটা সবাই এতদিন দেখার অপেক্ষায় ছিল। আগে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এবং প্রিমিয়ার লিগে এমন কিছু অফসাইড হতো যেগুলো নিয়ে হ্যাঁ বা না সিদ্ধান্ত দেওয়া ছিল কঠিন। এই প্রযুক্তি আসায় রেফারির জন্য খুবই ভালো হয়েছে। তারা এখন স্বাচ্ছন্দ্যে সঠিক উত্তরটা বলে দিতে পারবে।’