
সম্প্রতি কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মোহাম্মদ হাশিম (২২) নামক এক রোহিঙ্গা তরুণ ফেসবুক লাইভে এসে চার মাঝি খু’নের ঘটনার রোমহর্ষক বর্ণনা দিয়েছেন। লাইভে দেখা যায় ওই তরুণের হাতে অত্যাধুনিক অ’স্ত্র এবং এই রোহিঙ্গা তরুণ বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টার দিকে মো. আব্দুল্লাহ নামে ফেসবুক আইডি থেকে লাইভে আসেন।
জানা যায়, মোহাম্মদ হাশিম নামের এই তরুণ মিয়ানমার বুচিডং কুয়ানচিবংয়ের পূর্বপাড়ার আব্দুল জব্বারের ছেলে এবং সে বর্তমানে উখিয়ার বালুখালি ৯৩ ব্লকের ক্যাম্প-১৮ তে বাস করছেন। এছাড়াও এই তরুণ নিজেকে ‘ইসলামী মাহাজ’ নামক একটি সংগঠনের সদস্য বলেও দাবি করেছেন।
ফেসবুক লাইভের ওই ভিডিয়োতে দেখা যায়— হাশিম একটি বিদেশি পি’স্তল হাতে নিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের চার মাঝির মধ্যে কাকে কীভাবে হ’ত্যা করা হয় তারই রোমহষর্ক বর্ণনা দিচ্ছেন।
হাশিম লাইভে দাবি করেন— হাশিমের মতো আরও ২৫ জনকে অ’স্ত্র দিয়েছে ইসলামী মাহাজ। যাদের কাজ ছিল হ’ত্যার মিশন বাস্তবায়ন করা। যার জন্য তাদের দেওয়া হয়েছে মোটা অঙ্কের টাকা। এক মিনিট ৩১ সেকেন্ডের ভিডিওতে মোহাম্মদ হাশিম বলেন, হেড মাঝি আজিম উদ্দিন, হেড মাঝি সানা উল্লাহ, হেড মাঝি জাফর ও ক্যাম্প-১৭ এর ইসমাইলকে তারা হ’ত্যা করেছেন।
তাছাড়াও সে ওই ভিডিয়োতে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গ্রুপ ইসলামী মাহাজের ছয়জন মুখপাত্রের নামও উল্লেখ করেন। যারা হলেন- জিম্মাদার সাহাব উদ্দিন, রহমত উল্লাহ, হেড মাঝি ভুইয়া, মৌলভী রফিক, কাদের ও খায়রু। তিনি এই ছয়জনকে দাবি করেন ‘ইসলামি মাহাজে’ সংগঠনের দায়িত্বরত নেতা হিসাবে। ওই তরুণ আরও বলেন, সামনে তাদের আরও বড়ো মিশন ছিল। তবে সে নিজের ভুল বুঝতে পেরেছে। তাই এই খারাপ কাজ ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে চান।
তবে, মোহাম্মদ হাশিমের ওই লাইভের ভিডিও ইতোমধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়।
এই বিষয়ে ক্যাম্পে কর্মরত ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ বলেন, রোহিঙ্গা তরুণের ভিডিও বার্তা আমাদের নজরে এসেছে। ঘটনাটি আমরা যাচাই-বাচাই করছি। পাশাপাশি তার পরিচয় শনাক্ত করে ভিডিওতে দেখানো অ’স্ত্রসহ তাকে আটকের চেষ্টা চলছে। তিনি আরও বলেন, সে যাদের নাম উল্লেখ করেছে সেটিও তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ক্যাম্পে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।