অ্যাম্বার হার্ড সহিংস আচরণ করতেন, জানালেন তার বোন!

অ্যাম্বার হার্ড ও জনি ডেপের বিচ্ছেদ হয়েছে বহু আগেই। কিন্তু আইনী লড়াই যেন থামছেই না। জনি ডেপের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের মামলা করেছিলেন অ্যাম্বার হার্ড। কিন্তু মামলার শুনানি চলাকালীন সময়েই জনি ডেপ উলটো দাবি করেন যে তিনি নিজেই বরং সহিংসতার শিকার হয়েছিলেন অ্যাম্বার হার্ড দ্বারা। তার এমন দাবির পক্ষে যথেস্ট প্রমানও পাওয়া গিয়েছে। সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে তাদের এই মামলা নিয়ে ৬০০০ পৃষ্টার আইনী দলিলপত্র। আর এই দলিলপত্র থেকেই পাওয়া যাচ্ছে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য!
অ্যাম্বার হার্ড যে তার প্রাক্তন স্বামী জনি ডেপের আঙ্গুল কেটে ফেলেছিলেন এমন দাবির স্বপক্ষে প্রমান পাওয়া গিয়েছে। আর এটি নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে স্বয়ং অ্যাম্বার হার্ডের বোন হুইটনী হেনরিকেজের তথ্য থেকে। হুইটনী সেদিনের ঘটনার কথা ফাঁস করে দিয়েছিলেন তার অফিসের বস জেনিফার হাওয়েলের কাছে। তার সাথে হুইটনী ২০১৫ থেকে কাজ করতেন। স্বাভাবিক আলাপচারীতার এক পর্যায়ে হুইটনী এই ঘটনাটি তার বসের কাছে ফাঁস করে ফেলেন।
আরও পড়ুন# সন্তান আগমনের অপেক্ষায় উদগ্রীব রাজ-পরী!
হাওয়েলের দেওয়া জবানবন্দীতে তিনি বলেন, “হুইটনি কারো সঙ্গে ফোনে কথা বলা শেষে হন্তদন্ত হয়ে বলতে থাকে, ‘সে তার আঙুল কেটে ফেলেছে, সে তার আঙুল কেটে ফেলেছে!’ তারপর হুইটনী তার দরজা বন্ধ করে দেয় এবং বলতে থাকে – আমার এখনই কাউকে কল করতে হবে।”
হাওয়েলের এমন বক্তব্যের পর জনি ডেপের আইনজীবী তাকে জেরা করতে শুরু করেন এখানে “সে” বলতে হুইটনী কাকে বুঝিয়েছেন। তখন হাওয়েল স্পস্ট জবাব দেন এখানে জনি ডেপকেই বোঝানো হয়েছে। অ্যাম্বার হার্ড রাগের মাথায় জনি ডেপের দিকে কাঁচের বোতল ছুঁড়ে মারলে তার একাংশ লেগে জনি ডেপের আঙ্গুল কেটে যায়। আর এ কথাই হুইটনী কারও সঙ্গে ফোনে কথা শেষ করে তাকে জানিয়েছেন।
অ্যাম্বার-জনির মামলার এমন অনেক তথ্যই আদালতের বাইরে যেতে দেওয়া হয়নি। কেন দেওয়া হয়নি তা একমাত্র বিচারক আজকারেটই বলতে পারবেন।