আজ আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস

আজ আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস। প্রতি বছর ৮ সেপ্টেম্বর এ দিবসটি পালন করা হয়। প্রতিবারের মতো নানা আয়োজনে এ দিবসটি পালন করবে বাংলাদেশ। জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কোর ডাকে এর সদস্য দেশগুলোয় প্রতিবছর এ দিবসটি উদযাপিত হয়। বাংলাদেশেও এ দিবসটি উপলক্ষ্যে আজ বেশকিছু কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- আলোচনা অনুষ্ঠান, ক্রোড়পত্র প্রকাশ, টকশো-আলোচনা ইত্যাদি। এবারে দিবসটির প্রতিপাদ্য হচ্ছে, ‘ট্রান্সফর্মিং লিটারেসি লার্নিং স্পেসেস’ (সাক্ষরতা শেখার স্থান পরিবর্তন করা)।
দিবসটি উপলক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন। বাণীতে বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শিক্ষা দর্শনের আলোকে আওয়ামী লীগ সরকার শিক্ষা খাতকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে এর সার্বিক উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে এবং নিচ্ছে। আমাদের সরকারের বিগত সাড়ে ১৩ বছরে গৃহীত বিভিন্ন সময়োপযোগী কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ফলে শিক্ষা খাতে প্রশংসনীয় সাফল্য অর্জিত হয়েছে। শিক্ষার হার ২০০৭ সালের ৪৬.৬৬ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে ৭৪.৬৬ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সরকার শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে ২০১০ শিক্ষাবর্ষ থেকে ২০২২ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত মোট ৪০০ কোটি ৫৪ লাখ ৬৭ হাজার ৯১১ কপি পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করেছে। বিনামূল্যে বই বিতরণের পাশপাশি বিভিন্ন ধরনের মেধাবৃত্তি ও উপবৃত্তি দেওয়া হচ্ছে। উচ্চশিক্ষার সুবিধা জনগণের দ্বারে দ্বারে পৌঁছে দিতে দেশে পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা বহুলাংশে বাড়ানো হয়েছে।
আরও পড়ুন# রাতে ঢালাই করার পর সকালেই উঠে গেল সড়কের পিচ!
তিনি আরও বলেন, করোনাভাইরাসের প্রভাব কাটিয়ে শিক্ষার উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে আমরা প্রযুক্তিনির্ভর আধুনিক কারিগরি ও বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থার ওপর জোর দিয়েছি। আমরা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিভিত্তিক শিক্ষার গুরুত্ব বিবেচনা করে, বিশেষ করে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের কথা (৪ আর) মাথায় রেখে শিক্ষা ব্যবস্থাপনা এবং শিক্ষা কার্যক্রমে আইসিটি এবং ডিজিটাল প্রযুক্তির সুবিধা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি। এছাড়াও সব নিরক্ষরকে মৌলিক সাক্ষরতা জ্ঞান দেওয়ার ক্ষেত্রে আইসিটি বেইজড জীবনব্যাপী শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যে অনেক সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও অনলাইনে কিংবা সংসদ টেলিভিশনসহ বিভিন্ন মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হয়েছে।
এদিকে আজ আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষ্যে গতকাল বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) একটি সভার আয়োজন করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী জাকির হোসেন অংশ নেন। তিনি জানান ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ শতভাগ সাক্ষরতাপূর্ণ দেশের তালিকায় উন্নীত হবে।