
আজ ২৪ সেপ্টেম্বর (শনিবার) হলো মীনা দিবস। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশেও প্রতি বছর ২৪ সেপ্টেম্বর এই দিনটিকে পালন করা হয়। আর এই বছর দিবসটি প্রতিপাদ্য ‘নিরাপদ ও আনন্দময় পরিবেশে মানসম্মত শিক্ষা’।
প্রতিবছর সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংগঠনের সহায়তায় ‘ইউনিসেফ’ ঘোষিত দিবসটি উদযাপন করা হয়ে থাকে এবং এই দিবসটি বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়া, আফ্রিকা ও পূর্ব-এশিয়ার দেশগুলোতে পালন করা হয়।
জানা যায়, বিদ্যালয়ে যেতে সক্ষম শতভাগ শিশুর বিদ্যালয়ে ভর্তি নিশ্চিতকরণ এবং ঝরেপড়া রোধের এই দিবসটি পালন করা হয়। মীনা বাংলাদেশের বড়ো অর্জনগুলোর একটি। মীনা চরিত্রটি দ্বারা শিক্ষা ও স্বাস্থ্যবিষয়ক উন্নয়নের পাশাপাশি বাল্যবিয়ে, পরিবারে অসম খাদ্য বণ্টন, শিশুশ্রম রোধ প্রভৃতি বিষয়ে সচেতন করা ও কার্যকর বার্তা প্রচারিত হয়ে আসছে জনগণের মাঝে। এই মীনা হলো শিশু-কিশোরদেএ মধ্যে তুমুল জনপ্রিয় বাংলা কার্টুন। যে কার্টুন ইউনিসেফ তৈরি করেছে।
উল্লেখ্য, মীনা কার্টুনের মূল চরিত্র হলো মীনা। যে একটা আট বছর বয়সের মেয়ে শিশু। মীনা তার পরিবারের সাথে একটি ছোটো গ্রামে বাস করে। তার চরিত্রের মাধ্যমে শিশুদের অধিকার, শিক্ষা, সংস্কৃতি, বিনোদন, এবং শারীরিক ও মানসিকভাবে বেড়ে ওঠার চিত্র ফুটে ওঠে। কার্টুনে দেখা যায়, মীনা সময় মতো স্কুলে যায়, খেলাধুলা করে এবং পরিবারের সাথে সময় কাটায়। এর মাঝে সে বিভিন্ন সামাজিক প্রতিবন্ধকতা রোধ করে। এছাড়াও তার রয়েছে একটি পোষা টিয়া, যার নাম মিঠু। এছাড়াও অন্যান্য চরিত্রের মধ্যে উল্লেখযোগ্য চরিত্র হলো রাজু।
এই মীনা চরিত্রটি বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ভারত, নেপাল তথা দক্ষিণ এশিয়ার মেয়েশিশুদের প্রতিনিধিত্বকারী একটি বালিকা চরিত্র। ১৯৯৮ সাল থেকে দেশব্যাপী মীনা দিবস উদযাপন করছে সরকারি-বেসরকারি সংস্থা।
মীনা দিবস প্রতি বছর ২৪ সেপ্টেম্বর উদযাপন করা হয় এবং প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও সারা দেশব্যাপী মীনা দিবস উদযাপন হবে। মীনা দিবস উপলক্ষে জেলা, উপজেলা পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের নিয়ে র্যালি, মীনাবিষয়ক রচনা প্রতিযোগিতা, চিত্রাঙ্কন, যেমনখুশি তেমন সাজো ইত্যাদি কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে।
অপরদিকে, এই দিবসকে কেন্দ্র করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর বিস্তারিত কর্মসূচি নিয়েছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো— ঢাকা পিটিআইতে (মিরপুর-১৩) আলোচনা অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন ও বিশেষ অতিথি হিসেবে মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান উপস্থিত থাকবেন। এছাড়াও অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করবেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত।
তাছাড়াও দিনব্যাপী থাকছে নানা আয়োজন। যেমন— গল্প বলার আসর, বিশেষ ব্যক্তিত্ব কর্তৃক শিশুদের উদ্দেশ্যে প্রেরণামূলক বক্তব্য, পাপেট শো ও মাপেট শো, স্টল প্রদর্শনী, রচনা প্রতিযোগিতা, চিত্রাঙ্কন, যেমনখুশি তেমন সাজো ও মীনাবিষয়ক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আর এই জাতীয় কর্মসূচির সাথে মিল রেখে বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে।