আধাঘণ্টায় লেনদেন ২৫০ কোটি টাকা!

শেয়ারবাজারে লেনদেনে কিছুটা ধীরগতি থাকলেও আবারও ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা দিয়েছে। সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে সোমবার লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার পাশাপাশি মূল্যসূচকও বেড়েছে। বিভিন্ন স্টক এক্সচেঞ্জ ঘুরে এই তথ্য পাওয়া যায়।
প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে প্রথম আধাঘণ্টার লেনদেনে (ডিএসই) ৫০ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। এতে প্রধান মূল্যসূচক ১২ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হয়েছে ২৫০ কোটি টাকারও কিছু বেশি।
এদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)-ও মূল্যসূচকে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা গেছে। সেই সঙ্গে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট।
গত সপ্তাহে রিপোর্ট বিশ্লেষণে দেখা যায়, লেনদেন হওয়া পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তিন কার্যদিবসই ঊর্ধ্বমুখী ছিল। এক সপ্তাহেই ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক বাড়ে ৫১ পয়েন্ট। উল্লেখ্য, চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার মূল্যসূচকের পতন হয়। সেইসঙ্গে কমে যায় লেনদেনের পরিমাণও।
সোমবার শুরুতে ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার মাধ্যমে। ডিএসইর প্রধান সূচক কমে যায় ৮ পয়েন্ট।
আরও পড়ুন: ব্যাংক থেকে ‘নগদ’-এ টাকা আনলেই পাচ্ছেন ৫০ টাকা বোনাস!
তবে ১০ মিনিট পেরোবার আগেই দাম বাড়ার তালিকায় নাম লেখায় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার। ব্যতিক্রম হিসেবে এর মধ্যেও বড় মূলধনের বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম কমেছে। ফলে অর্ধেকের বেশি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার পরও সূচকের ব্যবধান সামান্য পরিমাণে বেড়েছে।
এখন পর্যন্ত ১০টা ১২ মিনিটে ডিএসইতে ১৮৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৫২টির। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১২৫টির দাম।
এদিকে ডিএসইর প্রধান সূচক বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট। তবে অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক কমেছে ৪ পয়েন্ট। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক বেড়েছে ১ পয়েন্ট। এ সময়ে ডিএসইতে লেনদেন হয় ৩০১ কোটি ৭৮ লাখ টাকার।
অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২১ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হয়েছে ৪ কোটি ৭৩ লাখ টাকার। লেনদেন অংশ নেওয়া ১২১ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ৫২টির, কমেছে ২৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৬টির।