ঋতুপর্ণাকে বিয়ে করতে চান প্রসেনজিৎ!

দূর্গাপুজো দুয়ারে এসে কড়া নাড়ছে, মাত্র কদিন বাদেই শুরু হতে যাচ্ছে বাংলার সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসবগুলোর একটি। এরপর শীত পড়লেই বাঙালির বিয়ের মৌসুমও শুরু হয়ে যাবে। শীত পড়তে বেশি সময় বাকি নেই। এরপর প্রস্তুতিও তী নিতে হবে। আর এতেই প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের কপালে চিন্তার ভাঁজ। ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর সাথে তার বিয়ের তারিখটাও যে এখন অব্ধি ঠিক হলো না!
প্রসেনজিৎ আর ঋতুপর্ণার বিয়ে! চমকে উঠেছেন? অবাক হয়েছেন ঋতুপর্ণাও। হঠাৎ করে প্রসেনজিতের মুখে ‘ঋতু’ ঋতু’ ডাক, শুনে তিনি দৌঁড়ে আসেন। এত ডাকাডাকি কিসের হঠাৎ? প্রসেনজিতের উত্তর, ‘বিয়ের তারিখটা ঠিক করতে হবে তো নাকি!’
আরও পড়ুন# আবেগে ইমনকে জড়িয়ে ধরলেন চয়নিকা!
শুনেই অপ্রস্তুত হন অভিনেত্রী। “ছেলে বড় হয়ে গিয়েছে, মেয়ে বড় হয়ে গিয়েছে। এখন আবার বিয়ের ডেট কিসের! কী আজেবাজে বকছো!” প্রসেনজিৎ বলেন, “ছেলে মেয়ে বড়… আরে আমাদের বিয়ের কথা বলছি নাকি! ওই যে ভেতরে…” এরপরেই হঠাৎ করে ভিডিওটি আটকে যায়। প্রসেনজিতের কথা সম্পূর্ণ শোনা যায়না। বিষয়টা কী? প্রসেনজিৎ ঋতুপর্ণার বিয়ে মানে? জাতীয় সিনেমা দিবসে ‘ইন্ডাস্ট্রি’ ঘোষনা করলেন ‘প্রসেনজিৎ ওয়েডস ঋতুপর্ণা’র তারিখ খুব শীঘ্রই জানানো হবে। ততদিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতেই হবে।
আসলে ‘প্রসেনজিৎ ওয়েডস ঋতুপর্ণা’ সিনেমাটির ঘোষনা চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি করেছিলেন প্রসেনজিৎ। রীতিমতো আমন্ত্রণ পত্র পাঠিয়েই অবাক করে দিয়েছিলেন দুজন। সেখানে লেখা ছিল, ‘সবিনয় নিবেদন, মহাশয়/ মহাশয়া, বিগত তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে একসঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করার পর এবার আমরা নতুনভাবে আপনাদের সামনে আসতে চলেছি- প্রসেনজিৎ ওয়েডস ঋতুপর্ণা।
গুরুজনদের আশীর্বাদ ও সকলের ভালোবাসা নিয়ে আমরা আগামীর পথ চলতে চাই। পাকা দেখা থেকে বিয়ের সব দায়িত্ব সামলাচ্ছেন সম্রাট শর্মা ও তাঁর হাট্টিমাটিম টিম। বিয়ের ঘটকালির দায়িত্বে পল্লবী চট্টোপাধ্যায়। বিয়ের তত্ত্বাবধানে মোহর ও শর্মিষ্ঠা। ডিজিটাল পত্র দ্বারা নিমন্ত্রণের ত্রুটি মার্জনীয়। বিনীত/ বিনীতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত।’
আরও লেখা ছিল, ‘বিয়ে সম্পর্কিত যে কোনো বিষয়ে খোঁজ নিতে লজ্জা না পেয়ে ফোন করুন মোহর ও শর্মিষ্ঠাকে।’
আসলে ‘প্রসেনজিৎ ওয়েডস ঋতুপর্ণা‘ একটি সিনেমার নাম। এটির পরিচালনা করেছেন সম্রাট শর্মা। নায়ক নায়িকা হিসাবে নতুন মুখদের দেখা যাচ্ছদ। তবে ক্যামিও চরিত্রে দেখা যাবে প্রসেনজিৎ ঋতুপর্ণাকে।