
ফেনী জেলা কারাগারে নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করেছেন স্ত্রী হত্যা মামলায় আটক আলোচিত এসপি বাবুল আখতার। কোডের ১১ ধারায় আজ চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ বেগম জেবুন্নেছার আদালতে আবেদন করেছেন। বাবুল আক্তারের আইনজীবী এডভোকেট গোলাম মাওলা মুরাদ এই আবেদন করেন।
বাবুল আখতার গত ৯ সেপ্টেম্বর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদারসহ ৬ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে মামলা দায়েরের প্রার্থনা জানানোর পর গত শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) ফেনী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নিজাম উদ্দিন ফেনী কারাগারে প্রবেশ করে বাবুল আখতারের কক্ষে দীর্ঘ সময় তল্লাশি করেন।
বাবুল আক্তারের আইনজীবী জানান, কারাগারে ফেনী থানার ওসির প্রবেশের চিত্র সিসিটিভি ক্যামেরায় রয়েছে। জেল কোড অনুসারে থানার কর্মরত একজন পুলিশ কর্মকর্তা কোনভাবেই জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবং আদালতের লিখিত অনুমতি ছাড়া জেলখানায় প্রবেশ করতে পারবেন না। ফেনী থানার ওসি আইন লঙ্ঘন করে জেল কোড অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
আরও পড়ুন# বৃষ্টিতেও থামছে না ঘুমধুম সীমান্তে গোলাগুলি, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি!
বাবুল আখতারের আইনজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ আরও জানান, ওসি প্রবেশের ঘটনার তদন্ত ও বাবুল আক্তারের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ফেনীর জেল সুপারকে নির্দেশ প্রদানের আবেদন করা হয়েছে। আদালত শুনানি শেষে আদেশের জন্য রাখা হয়েছে।
২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম শহরের জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় গুলি ও ছুরিকাঘাতে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় বাবুল আখতারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুকে। স্ত্রী খুনের ঘটনায় ওই সময় চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ থানায় হত্যা মামলা করেন বাবুল আখতার।
গত বছর ১২ মে বাবুল আখতার সহ মোট আটজনকে আসামি করে মিতুর বাবা মোশররফ হোসেন পাঁচলাইশ থানায় আরও একটি মামলা দায়ের করেন। দুটি মামলাই তদন্ত করছে পিবিআই। পরে মিতু হত্যার ঘটনায় বাবুল আখতারের সম্পৃক্ততা পায় তারা। পরে বাবুল আখতার চাকরিচ্যুত হন।