
অনুলিপি ডেস্ক: ক্রিকেটীয় সংস্কৃতি এদেশের মানুষের সঙ্গে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে থাকলেও পেশাদার আচরণ তৈরি হয়নি দেশকে প্রতিনিধিত্ব করা ক্রিকেটারদের মধ্যে। দেশে কিংবা দেশের বাইরে ক্রিকেটারদের এমন আচরণ প্রশ্নবিদ্ধ করে এদেশের ক্রিকেট চর্চাকে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে হাসির পাত্র হওয়া ক্রিকেটাররা জানেন না কোন ঘটনার প্রেক্ষিতে কীভাবে আচরণ করতে হবে। ক্রিকেটারদের এহেন আচরন পরিহার করতে অনুরোধ জানিয়েছে জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার খালেদ মাহমুদ সুজন।
আরও পড়ুন: মুশফিকের অপেশাদার আচরণ!
দেশের ক্রিকেটপাড়ায় গুঞ্জন উঠেছে- জিম্বাবুয়ে সফরে টি-টোয়েন্টি সিরিজের দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিমকে। কিন্তু বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) আনুষ্ঠানিকভাবে বলছে- মুশফিককে ‘বিশ্রাম’ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানকে টপকে গেল ভারত!
জিম্বাবুয়ে সফরে বিশ্রামে পাঠানো মুশফিকের একটি ফেসবুক পোস্ট সেই বিতর্কের আগুনে ঘি ঢেলেছে। পরিস্থিতি বেশ ঘোলাটে হয়ে যাওয়ার সোমবার বিষয়টি নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন জাতীয় দলের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন।
তিনি বলেন, এগুলো অনেকের ব্যক্তিগত ব্যাপার। এসব নিয়ে কথা বলতে পারি না। আজ আমি স্পষ্টভাবে সবাইকে পেশাদারিত্ব তৈরি করতে বলেছি। আমাদের ক্রিকেট সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে, পেশাদার হতে হবে। দল থেকে বাদ পড়লে স্বাভাবিকভাবেই অনেকের মন খারাপ হতে পারে।
সুজন আরও বলেন, ক্রিকেট একটা মানসিক খেলা। মানসিক চাপই সবচেয়ে বেশি। যতক্ষণ পর্যন্ত এই সংস্কৃতি গড়ে তুলতে না পারব ততক্ষণ পর্যন্ত ভালো করতে পারব না। আমার চাকরির খবর তো বাসায় জানাই না বা বাসার খবর তো চাকরিতে এসে জানাই না যে বউয়ের সাথে ঝগড়া করে এসেছি। এখানেও এরকম। পেশাদার হওয়া জরুরি। ভেতরের কথা বাইরে যাওয়াও উচিত না। যে-ই দিচ্ছে, যারাই দিচ্ছে, এটা স্বাস্থ্যকর না।
জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক সুজন বলেন, মানুষ ভুল থেকে শিখে। ভুল তো সবাই করি, না? আমি মনে করি আজকের পর থেকে আর এসব হবে না। আজকের পর থেকে জাতীয় দলের সবাই দায়িত্বশীল হবে। তারা বাংলাদেশের আইকন। শুধু মাঠে খেলা না, মাঠের বাইরেও অনেক খেলা আছে, যা সাবধানতার সাথে খেলতে হবে। আমি মনে করি আজকের পর থেকে আরও দায়িত্বশীল বাংলাদেশ দল দেখব। আমরা হারলেও যেন সেরাটা দিয়ে চেষ্টা করার সন্তুষ্টি থাকে। মাঠের বাইরের শৃঙ্খলা বজায় রাখার চেষ্টা করব, এটা প্রমিজ করতে পারি।