
সামাজিক অস্থিরতা যেন চরমে পৌঁছেছে। নেত্রকোনায় খারাপ বন্ধুদের সঙ্গে মিশতে নিষেধ করায় বাবা আবদুল আজিজকে (৫০) খু’ন করেছে ছেলে ও তার সহযোগীরা। হ’ত্যাকাণ্ডের ৬ দিন পর ঘটনার মূল রহস্য প্রকাশ্যে আনে পুলিশ।
এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত নেত্রকোনা ও ময়মনসিংহের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
অভিযুক্তরা হলেন, আবদুল আজিজের ছেলে মো. তরিকুল ইসলাম বিপ্লব (২১), প্রতিবেশী কাজল কর্মকারের ছেলে বিজয় কর্মকার (২২), এমদাদুল হকের ছেলে তরিকুল ইসলাম রানা (২১) ও তারা মিয়ার ছেলে আজাহার মিয়া (৩২)।
বাবা আবদুল আজিজকে হ’ত্যার পর তার ছেলে তরিকুল ইসলাম বিপ্লব ২০ হাজার টাকার চুক্তিতে ভাড়াটিয়া হিসেবে প্রতিবেশী বন্ধুদের ঠিক করেন। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এমন তথ্য দিয়েছে তারা।
আরও পড়ুন: পছন্দের মেয়ের সাথে বিয়ে না দেওয়ায় বাবাকে খু’ন!
গ্রেফতারকৃতরা জানান, আবদুল আজিজ তার ছেলে তরিকুল ইসলামকে সব সময় চোখে চোখে রাখতেন এবং বন্ধুদের সঙ্গে চলাফেরার জন্য শাসন করতেন। এনিয়ে তরিকুল তার বাবার ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন। সম্প্রতি তিনি বাবাকে হ’ত্যার জন্য একই গ্রামের কয়েকজন বন্ধুদের নিয়ে পরিকল্পনা করে ২০ হাজার টাকায় চুক্তি করেন।
পরিকল্পনা অনুযায়ী ১ আগস্ট রাতে আবদুল আজিজ পূর্বধলা উপজেলার শ্যামগঞ্জ বাজারে পোল্ট্রি খাদ্যের দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরেন। এরপর রাত সাড়ে নয়টার দিকে ছেলে মো. তরিকুল ইসলাম বিপ্লব তাকে ফোন করে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান। পরে নেত্রকোনা-ময়মনসিংহ সড়কের কুতুবপুর এলাকায় তাকে এলোপাতারি কুপিয়ে ফেলে রাখা হয়। কিছুক্ষণ পর ছেলে স্বজনদের নিয়ে আহত আবদুল আজিজকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন তিনি মা’রা যান। ঘটনার দুদিন পর নি’হতের স্ত্রী বকুল বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামিদের নামে মামলা করেন। পুলিশ গতকাল মঙ্গলবার তরিকুলকে আটক করে। পরে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী অপর তিন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়।
পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকরর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, অভিযুক্তদের আদালতে সোপর্দ করার প্রস্তুতি চলছে।
আরও পড়ুন : প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজের বাবাকে হ’ত্যা!