জাতীয়সন্দেশ

খালেদা জিয়ার মুক্তি চেয়ে পরিবারের আবেদন!

শারীরিক অবস্থার প্রেক্ষিতে ও উন্নত চিকিৎসার স্বার্থে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আবেদন করেছে তার পরিবার। খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার রোববার (১১সেপ্টেম্বর) দুপুরে  স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর এ আবেদন করেন বলে জানা যায়। পাশাপাশি চিঠিতে তিনি বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেওয়ারও অনুরোধ করেন।

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে গনমাধ্যমকে জানান, চিঠিটি রোববার দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পৌঁছানো হয়েছে। বিএনপি চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এ বি এম আব্দুস সাত্তার ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য বিজন কান্তি দাস চিঠি পৌঁছে দেন। ।

শায়রুল কবির আরও বলেন, এবিএম আব্দুস সাত্তার তাকে জানিয়েছেন ম্যাডামের মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর আবেদনটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তি করায়, লাখো মানুষের প্রতিবাদ!

এখানে উল্লেখ্য, গত শনিবার আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছিলেন, আমরা আবেদন পাওয়ার অপেক্ষায় আছি। পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন করলে নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হবে। চলতি মাসের ২৬ তারিখ খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ শেষ হবে।

এর আগে দুই বছর দেড় মাস (৭৭৬ দিন) কারাভোগের পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় শর্তসাপেক্ষে, ২০২০ সালের ২৫ মার্চ  খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া হয়। এরপর থেকেই তিনি তার গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’য় আছেন।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন বকশীবাজার আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ আদালতের বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান। রায় ঘোষণার পর খালেদা জিয়াকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে অবস্থিত সাবেক কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রাখা হয়। পরবর্তীতে ৩০ অক্টোবর এই মামলায় আপিলে তার আরও পাঁচ বছরের সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করেন হাইকোর্ট।

এছাড়াও, একই বছরের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়াকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেয় একই আদালত। রায়ে ৭ বছরের কারাদণ্ড ছাড়াও খালেদা জিয়াকে ১০ লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়। জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেয় আদালত। পরে প্রধানমন্ত্রীর নির্বাহী আদেশে তিনি মুক্তি পান।

Back to top button

Opps, You are using ads blocker!

প্রিয় পাঠক, আপনি অ্যাড ব্লকার ব্যবহার করছেন, যার ফলে আমরা রেভেনিউ হারাচ্ছি, দয়া করে অ্যাড ব্লকারটি বন্ধ করুন।