
স্থানীয় ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচ শেষে মাইক্রোফোনে বক্তব্য দেয়ার সময় কথা বলার সাথে সাথে ট্রফি ভাঙছেন একজন, এমন একটি ভিডিয়ো আজ (২৪ সেপ্টেম্বর) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
জানা যায়, এই ঘটনা ঘটিয়েছেন বান্দরবানের আলীকদম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহরুবা ইসলাম। গতকাল শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার চৈক্ষ্যং ইউনিয়নের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে এ ঘটনা ঘটেছে। ট্রফি ভাঙার বিষয়টি স্বীকার করেছেন ইউএনও মেহরুবা ইসলাম।
স্থানীয়রা গণমাধ্যমকে জানান, আবাসিক স্বাধীন যুব সমাজের উদ্যোগে গতকাল (২৩ সেপ্টেম্বর) আবাসিক জুনিয়র একাদশ বনাম রেপারপাড়া বাজার একাদশের ফাইনাল খেলা চলছিল। সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহরুবা ইসলাম।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, খেলার নির্ধারিত সময় শেষেও কোনো দলের গোল না হওয়ায় টাইব্রেকারের সিদ্ধান্ত দেন রেফারি। ট্রাইব্রেকারে ৪-৩ গোলে এগিয়ে থাকে আবাসিক জুনিয়র একাদশ। এতে আবাসিক জুনিয়র একাদশ চ্যাম্পিয়ন এবং রেপার পাড়া একাদশ রানার্সআপ হয়।
আরও পড়ুন: মেসির জোড়া গোলে আর্জেন্টিনার সহজ জয়!
কিন্তু উপস্থিত লোকজন খেলার ফলাফল মেনে না নিয়ে হট্টগোল শুরু করেন৷ তখন তাদেরকে শান্ত করার জন্য ইউএনও বলেন, ‘খেলায় হার জিত থাকবে, এতে কারও মন খারাপের কারণ নেই’। তিনি উপস্থিত দর্শকদের কাছে খেলার ফলাফলে সন্তুষ্ট কিনা জানতে চান। এ সময় কয়েকজন বলেন তারা ফলাফল মানেন না। এরপর ইউএনও ক্ষিপ্ত হয়ে চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ ট্রফি দুটি ভেঙে ফেলেন।
আলীকদম উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম এই বিষয়ে বলেন, ‘খেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউএনও মেহরুবা ইসলাম। সমাপনী বক্তব্যের সময় হঠাৎ ক্ষিপ্ত হয়ে ট্রফি ছুড়ে মেরে ভেঙে ফেলেছেন। একজন সরকারি কর্মকর্তার কাছে থেকে এ ধরনের আচরণ খুবই দুঃখজনক। খেলোয়াড়দের কাছে ট্রফি কেনার টাকাও ছিল না।’
এ বিষয়ে অভিযোগ স্বীকার করে ইউএনও মেহেরুবা ইসলাম বলেন, ‘খেলা শেষে পুরস্কার বিতরণের সময় হঠাৎ কয়েকজন এসে বলেন, খেলার ফল তারা মানেন না। তখন আমি আবারও খেলতে বলি। কিন্তু তারা বিষয়টি নিয়ে হট্টগোল শুরু করেন এবং ট্রফি নেবেন না বলে জানান। প্রয়োজনে ট্রফি ভেঙে ফেলতে বলেন। আমি পরিস্থিতি সামাল দিতেই ট্রফিগুলো ভেঙেছি।’
এদিকে একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তার এই ধরনের আচরণে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে স্থানীয় জনসাধারণের মধ্যে। সোশ্যাল মিডিয়াতেও এমন আচরণের সমালোচনা করছেন নেটিজেনরা।