
গ্যাস সংকটে নাকাল অবস্থা রাজধানীবাসীর। অনেক এলাকার বাসাবাড়িতে জ্বলছে না চুলা। চাপ কম সিএনজি ফিলিং স্টেশনেও। শিল্প কারখানার উৎপাদন কমে গেছে অর্ধেকেরও নিচে। এ অবস্থায়, নতুন গ্যাস ক্ষেত্র অনুসন্ধানের পাশাপাশি আবাসিকে পাইপ লাইনের বদলে এলএনজির ব্যবহার বাড়ানোর পরামর্শ বিশেষজ্ঞের।
রাজধানীর তেজগাঁওয়ের বাসিন্দা লাবনী হাসান। রান্নার উদ্দেশ্যে চুলায় কাড়াই চাপিয়েছেন। দুই ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও মসলার রংয়ে আসেনি কোনো পরিবর্তন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থেকেও পরিবারের জন্য দুপুরের খাবার তৈরিতে ব্যর্থ এই গৃহিণী।
লাবনী বলেন, ভোর ৫টার দিকে গ্যাস যায় আবার আসে বিকেল ৪-৫টার দিকে।
অন্যদিকে কোনো উপায় না পেয়ে শেষ ভরসা মাটির চুলা বেছে নিয়েছেন আরেক গৃহিণী। শুধু তেজগাঁওই নয়, রাজধানীর মিরপুর, মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি, যাত্রাবাড়ি, বনশ্রী, রামপুরাসহ বেশিরভাগ এলাকাতেই গ্যাস সংকটে বিপর্যস্ত নগরবাসী।
আরও পড়ুন# অবশেষে দীর্ঘ ২৫ দিন পর মায়ের লা’শ পেলেন মরিয়ম মান্নান!
রাজধানীর সিএনজি স্টেশনগুলোর অবস্থাও খুব একটা সুখকর নয়। গত প্রায় একমাস ধরে চাপ কম থাকায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও গ্যাস চেম্বার পরিপূর্ণ করতে পারছেন না চালকরা।
শিল্পদ্যোক্তারা বলছেন, গ্যাসের সমস্যা পুরোনো হলেও চলতি মাসের শুরু থেকেই সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। যার বিরূপ প্রভাবে সিরামিক, ইস্পাত ও টেক্সটাইল খাতের উৎপাদন নেমে এসেছে অর্ধেকে। দেশে গ্যাসের মোট চাহিদা তিন হাজার আটশ মিলিয়ন ঘনফুট হলেও নানাবিধ সংকটে বর্তমানে সরবরাহ নেমে এসেছে দুই হাজার সাতশ পঞ্চাশ মিলিয়ন ঘনফুটে।
স্বল্পমেয়াদে গ্যাসের সংকট মোকাবিলায় বাসাবাড়িতে পাইপ লাইনের গ্যাসের বদলে এলপিজি ব্যবহার বাড়ানোর পাশাপাশি ব্যক্তিগত গাড়িতে সিএনজি ব্যবহার বন্ধের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।