
এক ঝাঁক তারকাভরা ব্রাজিল দলের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি আফ্রিকান ব্ল্যাক স্টাররা। লড়াইটা ছিল ফিফা র্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বরের সঙ্গে ৬০ এর। যতটা একপেশে হওয়ার কথা ছিল, ঠিক ততটাই একপেশে করে রাখলো ব্রাজিল।
বাছাইপর্বের দুর্দান্ত ফর্ম এই ম্যাচেও ধরে রাখল সাম্বাবয়রা। শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাতে প্রীতি ম্যাচে ঘানাকে হারিয়েছে ৩-০ গোলে। জোড়া গোল করেছেন টটেনহামের রিচার্লিসন। এ নিয়ে টানা ১৪ ম্যাচ অপরাজিত রইল তিতে শিষ্যরা।
শক্তিশালী দল হওয়ায় ফলাফল নিয়ে বাড়তি চিন্তা ছিল না ব্রাজিলের। তবে প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে দলের সমন্বয় করাটা চ্যালেঞ্জ ছিল তিতের জন্য। সেজন্যই হয়তো, কোনো এক্সপেরিমেন্টে না গিয়ে সেরা একাদশকেই মাঠে নামান তিতে। তাতে শুরু থেকেই বেশ চাপে থাকে ঘানা।
আরও পড়ুন: নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ের একমাত্র কৃতিত্ব বাফুফের: সালাউদ্দিন!
ম্যাচের নবম মিনিটে কর্নার থেকে আনমার্কড মার্কুইনহোসের হেড জড়িয়ে যায় ঘানার জালে। ম্যাচে এগিয়ে যায় সেলেসাওরা। উল্লাসে ফেটে পড়ে গ্যালারি। এরপর কয়েক দফায় পালটা আক্রমণ করলেও, গোলের সুযোগ তৈরি করতে পারেনি ঘানা। উলটো বেয়া কয়েকটি সহজ সুযোগ মিস করেন বার্সেলোনার রাফিনহা।
২৮ মিনিটে দুর্দান্ত এক গোল করে দলকে ২-০ তে এগিয়ে দেন রিচার্লিসন। তার নান্দনিক গোলটি অনেকদিন মনে থাকবে দর্শকদের। পরে প্রথমার্ধ্বের ৪০ মিনিটে নিজের জোড়া গোল পূরণ করেন রিচার্লিসন। নেইমারের ফ্রি কিক থেকে দারুণ এক হেড করে স্কোর করেন টটেনহ্যাম ফরোয়ার্ড।
দ্বিতীয়ার্ধে বেঞ্চের শক্তি পরখ করতে শুরু করেন তিতে। একাদশে আনেন চার পরিবর্তন। রিচার্লিসন-ভিনিসিয়াসের সঙ্গে উঠিয়ে নেন ক্যাসিমিরো এবং সিলভাকেও। আর ততক্ষণে নিজেদের গুছিয়ে নিয়েছিল ঘানাও। তাই তো স্কোর করা হয়নি আর সেলসাওদের।
দ্বিতীয়ার্ধের এই সময়েও আক্রমণ হয়েছে প্রচুর কিন্তু আর কোনো গোলের দেখা পায়নি ব্রাজিল। পরে রাফিনহাকে বদলি করে রদ্রিগোকে নামান ব্রাজিল বস৷ তাতেও অবশ্য কোনো লাভ হয়নি। শেষতক, প্রথমার্ধে দেওয়া ৩-০ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে ব্রাজিলকে। এ নিয়ে টানা ১৪ ম্যাচে অপরাজিত ব্রাজিল।