
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় ঘুষ না দেওয়ার কারণে প্রথম হয়েও নিয়োগ পাননি দুই প্রার্থী। আর এই নিয়োগ থেকে বঞ্চিত হয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছেন নিয়োগ বঞ্চিত ওই দুই প্রার্থী।
জানা গেছে, গত জুন মাসে উপজেলার উত্তর কোটালীপাড়া রামমোহন উচ্চ বিদ্যালয়ের কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর ও অফিস সহায়ক পদে নিয়োগের জন্য কয়েকটি পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। এই বিজ্ঞাপনে সাড়া দিয়ে কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর পদে ৮ জন ও অফিস সহায়ক পদে ১৭ জন প্রার্থী লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ নেন।
এই পরীক্ষায় কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর পদে জয় রায় ও অফিস সহায়ক পদে দেলোয়ার হোসেন মোল্লা প্রথম স্থান অধিকার করেন। সে মোতাবেক পরীক্ষার দিন নিয়োগ বোর্ড এই দুই জনের নাম সুপারিশ করে কর্মস্থলে যোগদান করতে বলেন। নির্বাচিত এই দুই প্রার্থী বিদ্যালয়ে যোগদান করতে গেলে তাদের যোগদান গ্রহণ না করে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন# বোরকাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরমাল ড্রেস ঘোষণার দাবি!
জয় রায় ও দেলোয়ার হোসেন মোল্লা বলেন, আমরা দু’জন বিদ্যালয়ে যোগদান করতে গেলে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নরেন্দ্রনাথ হাওলাদারসহ কমিটির লোকজন আমাদের কাছে ১০ লক্ষ টাকা ঘুষ দাবি করেন। আমরা ঘুষের টাকা দিতে অস্বীকার করলে যোগদান না নিয়ে তারা আমাদেরকে ফিরিয়ে দিয়েছেন।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক স্বপন কুমার দের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, নিয়োগ পরীক্ষা শেষে নির্বাচিত প্রার্থীদের নিয়োগের জন্য সকল নথিপত্র আমি কমিটির কাছে পাঠিয়েছিলাম। কমিটি ওই দুই প্রার্থীকে নিয়োগের জন্য অনুমোদন না করে নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল করে দিয়েছেন।
বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নরেন্দ্রনাথ হাওলাদার এ প্রসঙ্গে বলেন, নিয়োগ পরীক্ষায় জয় রায় ও দেলোয়ার হোসেন মোল্লা প্রথম স্থান অধিকার করলেও তারা আমাদের কাছে যোগ্য বলে মনে হয়নি। তাই আমরা তাদেরকে বিদ্যালয়ে যোগদান করতে দেইনি। আমরা ওই নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল করে দিয়েছি। নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল করে দেওয়ার কারণে এরা দুইজন ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ তুলেছে। বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফসার মোঃ সিদ্দিক নূর আলম বলেন, আমরা জয় রায় ও দেলোয়ার হোসেন মোল্লার লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগ দু’টি তদন্ত করতে আমরা একটি কমিটি তৈরি করেছি। তদন্র প্রতিবেদন পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।