চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণার পর পদবঞ্চিত নেতাকর্মীদের ডাকা অবরোধে অচল হয়ে পড়েছে গোটা ক্যাম্পাস। এতে বিশ্ববিদ্যালয়টির আজকের সব ক্লাস ও পরীক্ষা বাতিল করে দিতে বাধ্য হয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
গতকাল ৩১ জুলাই (রবিবার) রাতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এই পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে স্থান পায় ৩৭৫ জন।
এর ঠিক পরপরই পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা দিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। তাদের অভিযোগ, এই কমিটিতে টাকার বিনিময়ে পদ দেওয়া হয়েছে। এতে ছাত্রলীগের কমিটি থেকে প্রকৃত কর্মীরা বঞ্চিত হয়েছেন।
আরও পড়ুন# গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি পরীক্ষা শুরু আজ!
আজ সকাল পেরিয়ে রাত হয়ে গেলেও থামেনি অবরোধ। সকালবেলা চট্টগ্রাম থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে ছেড়ে আসা শাটল ট্রেন দু’টিও আটকে দিয়েছেন ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা। কোনো বাস বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে যেতে পারেনি। এতে সকল ক্লাস পরীক্ষা স্থগিত করতে এক প্রকার বাধ্য হয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে ক্যাম্পাস থেকে দূরে ও শহরে অবস্থান করায় চারুকলা অনুষদের ক্লাস পরীক্ষা যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে ক্যাম্পাসে অবস্থানরত চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীরা বাস, শাটল কোনোকিছু না পেয়ে ভোগান্তিতে পড়েন।
এদিকে পদ বঞ্চিত নেতারা বলছেন, ছাত্রলীগের প্রকৃত ও ত্যাগী কর্মীরা এই কমিটিতে পদ পায়নি। এমন প্রহসনমূলক কমিটি চাই না। এদিকে এই অবরোধে সাধারণ শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হয়েছেন। আজ সকালবেলা ঝাউতলা স্টেশনে শাটল ট্রেন আটকে দিয়ে লোকোমাস্টারকে ট্রেন থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়। এতে অনেককে পায়ে হেঁটে স্টেশন থেকে বিভিন্ন দিকে যেতে দেখা যায়। পরে তারা অন্যান্য যানবাহনে করে ক্যাম্পাসে ফিরছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক শিক্ষার্থী অনুলিপিকে বলেন, আমরা রাজনীতি করি না। তাহলে আমরা কেন রাজনৈতিক কারণে ভোগান্তির শিকার হবো? এমনটি কখনোই মেনে নেওয়া যায় না।