
চাঁদপুরে নিখোঁজ হওয়ার সাতদিন পর এক ছাত্রলীগ কর্মীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত প্রান্ত চাঁদপুর সরকারি কলেজের বিবিএর ছাত্র ছিলেন। গত সাতদিন ধরে নিখোঁজ থাকার পর আজ তার মরদেহ ভোলার তমিজউদ্দীন এলাকার নদী থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রথমে পুলিশ প্রান্তের মরদেহ বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে দাফন করে। পরে প্রান্ত’র স্বজনরা ভোলায় গিয়ে লাশের জামা-কাপড় ও হাতঘড়ি দেখে লাশ শনাক্ত করেন।
প্রান্তের বড় ভাই তোহিদুর রহমান জনি বলেন, গত ২ সেপ্টেম্বর থেকে আমার ছোট ভাই নিখোঁজ ছিল। তাকে কোথাও খুঁজে না পেয়ে ঘটনার তিনদিন পর অর্থাৎ ৫ সেপ্টেম্বর চাঁদপুর সদর মডেল থানায় একটি জিডি করি। পরে পুলিশ আমাদের জানায়, প্রান্তের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নম্বরটি ট্র্যাকিং করে চাঁদপুর শহরের পুরানবাজারে পাওয়া গেছে। তারপর থেকে তা পুরোপুরি বন্ধ দেখাচ্ছে।
আরও পড়ুন# নাগরিকত্ব শনাক্ত করতে না পারায় সীমান্তে একজনের মৃ’ত্যু!
তিনি আরও বলেন, মরদেহ পাওয়ার পর পুলিশ আমাদের জানায়, প্রান্তর লাশের গলায় ফাঁসের চিহ্ন রয়েছে। এ জন্য আমরা ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ পরীক্ষার আবেদন করেছি।
নিহত প্রান্তর বাবা মাহবুবুর রহমান রেলওয়ের সাবেক টিটি। তিনি চাঁদপুর জেলা শ্রমিক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি জানান, তার ছেলে গত ৭ দিন ধরে নিখোঁজ থাকার পরেও পুলিশ এর কোনো রহস্য উদঘাটন করতে পারছে না। তিনি পুলিশসহ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।
চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. রাশেদুজ্জামান জানান, প্রান্তর শারীরিক গঠনের সাথে ভোলায় উদ্ধারকৃত লাশের শারীরিক গঠনের ৬০ ভাগই মিল পাচ্ছি। এখন ডিএনএ টেস্ট করলেই পরবর্তী প্রতিবেদনে বিষয়টি পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যাবে!