
নির্মাণের পর চার বছরেও চালু হয়নি মুন্সীগঞ্জে নির্মিত ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি (আইএইচটি) এটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৩৪ কোটি টাকা। বর্তমানে ভবনগুলো অযত্নে পড়ে আছে। এতে বছরের পর বছর ধরে পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি) ও আসবাবপত্র। অ্যাকাডেমিক ভবন, ছাত্র হোস্টেল, ছাত্রী হোস্টেল, অফিসার্স কোয়ার্টার, অধ্যক্ষ ভবন ও কর্মচারীদের জন্যে নির্মিত আবাসিক কোয়ার্টার এই ছয়টি বহুতল ভবনই এখন অরক্ষিত। নেই দেখভালের কেউ।
স্থানীয়দের অভিযোগ, স্বাস্থ্য বিভাগ বিশাল এই ক্যাম্পাসের কোনো খোঁজখবর রাখে না। তাই ভবনগুলোতে চলছে মাদকের আড্ডা, চলছে নানা ধরনের অনৈতিক ও অসামাজিক কর্মকাণ্ড।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন এই ইনস্টিটিউটটিকে চালু করতে পারলে দেশের সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে মেডিকেল টেকনোলজিস্টের সংকট কমবে।
আরও পড়ুন# চা শ্রমিকদের সাথে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক আগামীকাল!
মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. অমরেন্দ্র সাহা বলেন, ইনস্টিটিউট চালু হলে সেখানে লোকবল প্রয়োজন হবে। সরকার যদি তাদের নিয়োগ দেয়, তাহলে স্বাস্থ্যখাত আরও উন্নত হবে।
তবে চার বছরেও আইএইচটি চালু না হওয়ার জন্য জনবল সংকটের দোহাই দিচ্ছেন মুন্সীগঞ্জ সিভিল সার্জন মঞ্জুরুল আলম। তিনি বলেন, ‘আমরা স্বাস্থ্য বিভাগের ডিজি মহোদয়ের সাথে যোগাযোগ করেছি। আমি বলেছি যে, নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য অবিলম্বে লোকবল প্রয়োজন।’
৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত প্রতিষ্ঠানটি চালু হলে বিজ্ঞান বিভাগে এসএসসি পাসের পর রেডিওলজি, ল্যাব, ডেন্টাল ও ফার্মেসি–এই চার ট্রেডের প্রতি সেশনে ২০০ শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পাবে। যা দেশের মেডিকেল সেক্টরে বড়ো অবদান রাখবে।