
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্রীকে ধ’র্ষ’ণের অভিযোগ উঠেছে এক মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে। অপহরণ ও ধ’র্ষ’ণ মামলার প্রধান আসামি মাদ্রাসা শিক্ষক আবু সামাকে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ। এক মানববন্ধনে অভিযুক্ত শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তারা। সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ভূঞাপুর থানা মোড় চত্বরে মানববন্ধন করা হয়।
মানববন্ধনে আগতরা বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বী ওই স্কুলছাত্রীকে ধ’র্ষ’ণ ও নির্যাতনের ঘটনার কয়েক দিন পেরিয়ে গেলেও প্রধান আসামি আবু সামাকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি ভুঞাপুর পুলিশ। স্থানীয় প্রভাবশালী মহল এ ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে আপস-মীমাংসার চেষ্টা করছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার না হলে কঠোর কর্মসূচি আয়োজনের হুঁশিয়ারি দেন তারা।
এ সময় বক্তব্য দেন উপজেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি স্মরণ দত্ত, সাধারণ সম্পাদক রবীন্দ্রনাথ, উপজেলা সুশাসনের জন্য নাগরিকের সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ কুমার দত্ত, উপজেলা শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উৎসব উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব অভিজিৎ ঘোষ প্রমুখ।
আরও পড়ুন# কারাগারে নিরাপত্তা চাইলেন স্ত্রী-হত্যায় অভিযুক্ত এসপি বাবুল!
ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর বাবা বলেন, ‘এখন আমার মেয়েটির কী হবে? সমাজে আমরা মুখ দেখাব কী করে? এ ঘটনার যথাযথ বিচার চাই। আমরা ভয়ে আছি। মামলা তুলে নেওয়ার জন্যে আমাদের ওপর চাপ দেওয়া হচ্ছে।’
ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় থানায় শিক্ষকসহ দুজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। ডাক্তারি পরীক্ষা ও জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে। ভুক্তভোগীর শরীরে ধ’র্ষ’ণের আলামত পাওয়া গেছে। আমরা মামলার মূল আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি। মীমাংসার চেষ্টা হয়েছে কি না এমন প্রশ্নে ওসি বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই।’
এ ঘটনায় ৮ সেপ্টেম্বর রাতে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন স্কুলছাত্রীর বাবা। পরদিন সকালে আবু সামার বড়ো ভাই আব্দুর রাজ্জাক ওরফে মোতালেবকে আটক করে পুলিশ।
এ ঘটনায় ওই ভুক্তভোগী ছাত্রী ২২ ধারায় টাঙ্গাইল বিজ্ঞ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জবানবন্দি দিয়েছে।