দুই মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেন দেখল শেয়ারবাজার!

গত পরশুই বড়ো পতন দেখেছিল দেশের শেয়ারবাজার। আজ মঙ্গলবারও (১১ অক্টোবর) লেনদেনের শুরুতে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়লেও শেষ পর্যন্ত দরপতনের পাল্লা ভারী হয়েছে। এতে মূল্যসূচকে যেমন নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে, তেমনি কমেছে লেনদেনের পরিমাণও। ফলে দুই মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেনের ঘটনা দেখল শেয়ারবাজার।
আজ প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক সামান্য বাড়লেও কমেছে অন্য দুই সূচক। আর অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকটি মূল্যসূচকই কমেছে।
লেনদেন শুরুর চিত্র অবশ্য এমন ছিল না। অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার মাধ্যমে লেনদেন শুরু হওয়ায় শেয়ারবাজার খুলতেই ডিএসইর প্রধান সূচক বাড়ে প্রায় ৩০ পয়েন্ট। লেনদেনের আড়াই ঘণ্টার মাথায় ডিএসইর প্রধান সূচক বাড়ে ৪০ পয়েন্ট।
কিন্তু দুপুর ১২টার পর বদলে যেতে থাকে পরিস্থিতি। একের পর এক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমায় সূচকও নিচের দিকে নামতে থাকে। ফলে প্রধান সূচক নামমাত্র বেড়ে দিনের লেনদেন শেষ হয়।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে শেয়ার দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ৭৩টি প্রতিষ্ঠান। অন্যদিকে দাম কমেছে ৮০টির। আর ২১৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এতে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় দশমিক ২৮ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৪৪৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন : রেমিট্যান্সে গতি কমেছে, ছয়দিনে এলো ৩৫ কোটি ডলার!
উল্লেখ্য, সূচকের মিশ্র প্রবণতার মধ্যে ডিএসইতে লেনদেন কমে দুই মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থায় চলে গেছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ১০ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ১ হাজার ৪১৭ কোটি ৫২ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন কমেছে ৪০৭ কোটি ১৭ লাখ টাকা। লেনদেন শুধু আগের দিনের তুলনায় কমেনি, চলতি বছরের ১৪ আগস্টের পর সব থেকে কম লেনদেন হয়েছে।
ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে ওরিয়ন ফার্মার শেয়ার। কোম্পানিটির ৯১ কোটি ৬৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বেক্সিমকোর লেনদেন হয়েছে ৭১ কোটি ১৫ লাখ টাকা। ৫৭ কোটি ৫৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইস্টার্ন হাউজিং।
এদিন ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- সোনালী পেপার, ইন্দোবাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন, জেএমআই হসপিটাল অ্যান্ড রিকুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং, বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেম, পেপার প্রসেসিং এবং সি পার্ল বিচ রিসোর্ট।
পাশাপাশি চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ৩৮ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ১৭ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। লেনদেন অংশ নেওয়া ২১৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩৮টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৭৭টির এবং ১০৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।