
একের পর এক সমালোচনার তির ছুটছে সাকিবের দিকে। মাঠের খেলায় বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডারের সময় খুব একটা ভালো যাচ্ছে মাঠের বাইরে। সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে শেয়ার বাজার কারসাজির। দিন কয়েক না পেরুতেই জাতীয় এক গণমাধ্যমের অনুসন্ধানে প্রকাশ পায় সাকিব তার বাবার নাম জালিয়াতি করেছেন তার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কাজে। পরবর্তীতে তাকে নজরদারিতে রাখার কথাও জানায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
তারই জের করে দুদক জানায়, বাংলাদেশের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে দিয়ে আর কোনো প্রচারণা বা বিজ্ঞাপন করাবে না সংস্থাটি। মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাতে গণমাধ্যমকে বিষয়টি জানানো হয়েছে দুদকের পক্ষ থেকে। ২০১৮ সাল থেকে দুদকের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে রয়েছেন বাংলাদেশি এই অলরাউন্ডার।
এ ব্যাপারে দুদক সচিব জানান, সাকিব আল হাসানের সঙ্গে দুদকের শুভেচ্ছাদূতের চুক্তি বিনাপারিশ্রমিকে। এর আগেও গণমাধ্যমকে কারাতে ফেডারেশনের সভাপতি ও দুদক কমিশনার মোজাম্মেল হক বলেছিলেন, সাকিবের বিষয়ে এখনই কোনো মন্তব্য করা যাচ্ছে না। আমরা কমিশনে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব।
আরও পড়ুন: শেয়ারবাজার কারসাজি: সাকিবকে নজরে রাখছে দুদক!
সম্প্রতি দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) এক অনুসন্ধানে শেয়ারে ব্যাপক কারসাজির তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গেছে। এতে অন্যদের সঙ্গে মোনার্ক হোল্ডিংসের চেয়ারম্যান ও ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের নামও উঠে এসেছে।
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন-বিএসইসির শুভেচ্ছাদূত হওয়ার পর চলতি বছর জানুয়ারিতে মোনার্ক হোল্ডিংস লিমিটেড নামে একটি ব্রোকারেজ হাউজের যাত্রা শুরু করেন সাকিব। তিনি নিজে ওই কোম্পানির চেয়ারম্যান এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেয়ারবাজার কেলেংকারিতে বিপুল সমালোচিত আবুল খায়ের হিরুর স্ত্রী কাজী সাদিয়া হাসান।
এদিকে, ১৫ ডিসেম্বর ২০২১ এ স্বাক্ষরিত কোম্পানি ফর্মে দেখা যায় খন্দকার মাসরুর রেজার পরিবর্তে সাকিবের বাবার নাম দেয়া হয়েছে কাজী আব্দুল লতিফ। এমন কাণ্ড আবারও জন্ম দিয়েছে নানা প্রশ্নের। পরবর্তীতে বিষয়টি পরিষ্কার করেছেন আবুল খায়ের হিরু। তিনি জানান, ভুলটি করেছে যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদফতর- আরজিএসসি।