বিজ্ঞানস্বাস্থ্যস্বাস্থ্য ও লাইফস্টাইল

দেশে শনাক্ত হলো করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট!

‏সম্প্রতি যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে বাংলাদেশী ৩ জনের শরীরে সন্ধান মিলল করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট। অর্থাৎ ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের নতুন সাব ভ্যারিয়েন্ট 22D:Omicron/BA.2.75 শনাক্ত করা হয়েছে।

গত রবিবার (৫ সেপ্টেম্বর) জিনোম সেন্টারের একদল গবেষক, যশোরের তিনজন আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে সংগৃহীত স্যাম্পল নেন এবং স্যাম্পল হতে ভাইরাসের আংশিক বা স্পাইক প্রোটিন জিনোম সিকুয়েন্সের মাধ্যমে শনাক্ত করেন করোনার নতুন এই ভ্যারিয়েন্টটি।

যবিপ্রবির গবেষক দলটির ভাষ্যমতে, আক্রান্তরা তিনজনই পুরুষ। যাদের দুইজনের বয়স ৮৫ এবং একজনের ৫৫। আক্রান্ত ব্যক্তিদের একজন হাসপাতালে চিকিৎসারত এবং বাকি দুইজন বাসাতেই চিকিৎসা গ্রহণ করছেন। আক্রান্ত ব্যক্তিদের শরীরে বিভিন্ন মৃদ্যু উপসর্গ রয়েছে, যেমন— জ্বর, গলাব্যথা, সর্দি-কাশি, ইত্যাদি।

তারা আরও বলেন, BA.2.75 সাব-ভ্যারিয়েন্টে স্পাইক প্রোটিন ওমিক্রনের BA.2 ভ্যারিয়েন্টের মতোই মিউটেশন দেখা যায়। তবে তার সাথে আরও দেখা যায় দুইটি রিভার্স মিউটেশন G446S এবং R493Q। জুলাই মাসে ভারতে ওমিক্রনের এই সাব-ভ্যারিয়েন্টটি প্রথম শনাক্ত হয়েছে।

তাছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গত আগস্টে এই সাব ভ্যারিয়েন্টটি শনাক্ত হয়েছে। এই ভ্যারিয়েন্টে ভ্যাকসিন নেওয়া ব্যক্তিরাও আক্রান্ত হচ্ছেন। বিজ্ঞানীদের মতে, ভবিষ্যতে এই সাব-ভ্যারিয়েন্ট বর্তমানে সংক্রমণশীল অন্য সব সাব-ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় বেশি সংক্রমণ ঘটাতে পারে।

এই বিষয়ে যবিপ্রবির উপাচার্য ও জেনোম সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন— এই সাব-ভ্যারিয়েন্টটি মানুষের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে সহজেই ফাঁকি দিতে সক্ষম। এ জন্য মাস্ক ব্যবহারসহ কঠোরভাবে করোনাকালীন স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো বিকল্প নেই। এছাড়াও পরবর্তীতে এই ভ্যারিয়েন্টের সম্পূর্ণ জিনোম সিকুয়েন্স করে আরও বিভিন্ন তথ্য জানানো হবে এবং এই বিষয়ক কাজ জিনোম সেন্টারে চলমান থাকবে।

আরও পড়ুন# এমআরএনএ ভ্যাক্সিন কী এবং এটি কীভাবে কাজ করে?

উল্লেখ্য, এর আগে এই জিনোম সেন্টারে করোনাভাইরাসের ডেল্টা ও ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের স্থানীয় সংক্রমণও শনাক্ত করা হয়েছিল।

যবিপ্রবির অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ও জিনোম সেন্টারের সহযোগী পরিচালক অধ্যাপক ড. ইকবাল কবীর জাহিদের নেতৃত্বে করোনার নতুন এই সাব-ভ্যারিয়েন্ট শনাক্তে গবেষক দলের অন্য সদস্যরা হলেন- বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান ড. হাসান মো. আল-ইমরান, পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শিরিন নিগার, অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. তানভীর ইসলাম, ড. সেলিনা আক্তার, ড. অভিনু কিবরিয়া ইসলাম, জিনোম সেন্টারের গবেষণা সহকারী প্রশান্ত কুমার দাস, মো. আলী আহসান সেতু প্রমুখ।

Back to top button

Opps, You are using ads blocker!

প্রিয় পাঠক, আপনি অ্যাড ব্লকার ব্যবহার করছেন, যার ফলে আমরা রেভেনিউ হারাচ্ছি, দয়া করে অ্যাড ব্লকারটি বন্ধ করুন।