
২০১৪ সালের ২২ ডিসেম্বর। রাত আড়াইটা। লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে ঘরের দরজা ভেঙে আট-নয়জন মিলে গৃহবধূকে ধ’র্ষ’ণ করেন। সেই অভিযোগে করা মামলায় চারজনকে মৃ’ত্যু’দণ্ড দিয়েছিলেন বিচারিক আদালত। প্রথাগতভাবেই এ রায়ের বিরুদ্ধে আসামিরা আপিল করেন। জানা গেছে, অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় তাদের মৃ’ত্যু’দণ্ড থেকে খালাস করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্টের আপিল বিভাগ।
আসামিদের ডেথ রেফারেন্স খারিজ করে মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি কে এম ইমরুল কায়েশের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন।
খালাসপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন কমলনগর উপজেলার চর বসু গ্রামের ছানাউল্লাহ, আন্ডার চর গ্রামের মো. রহিম, চর কালকিনি গ্রামের মো. হারুন ও একই গ্রামের আবুল কাসেম।
উল্লেখ্য, আদালতে আজ রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান জামান। আর আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী হেলাল উদ্দিন মোল্লা।
এ প্রসঙ্গে হেলাল উদ্দিন মোল্লা গনমাধ্যমকে বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছেন। এছাড়া মেডিকেল রিপোর্টেও ধ’র্ষ’ণের প্রমাণ মেলেনি। ফলে চার আসামি খালাস পেয়েছেন।
আরও পড়ুন : কানের দুলের জন্য গৃহবধূকে খু’ন, ৩ জনের মৃ’ত্যু’দণ্ড!
তবে মামলার অভিযোগসূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ২২ ডিসেম্বর রাত আড়াইটায় লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে একটি ঘরের দরজা ভেঙে আট-নয়জন এক গৃহবধূর ঘরে প্রবেশ করেন। এরপর ঘুমন্ত অবস্থায় গৃহবধূর হাত-পা বেঁধে তার ওপর পাশবিক নির্যা’তন চালায়। মুমূর্ষু অবস্থায় স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কমলনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ ঘটনাড় পর ওই নারীর স্বামী বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে চারজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত চার-পাঁচজনকে আসামি করে কমলনগর থানায় একটি মামলা করেন। তদন্ত শেষে ২০১৫ সালের ৩১ মে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।
২০১৭ সালের ২৯ মার্চ বিচার শেষে চারজনকে মৃ’ত্যু’দণ্ড ও একজনকে খালাস করে রায় দেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ এ কে এম আবুল কাশেম। তাদেরই খালাস করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।