
এগিয়ে আসছে দ্বিতীয় মেয়াদের জেলা পরিষদ নির্বাচন। এবারে নেত্রকোনা জেলা পরিষদ নির্বাচনে দুর্গাপুর উপজেলা থেকে সাধারণ সদস্য পদে ভোটযুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন দুই সতিন। দুই সতিনের এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়ে নির্বাচনী এলাকায় চলছে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা।
দুর্গাপুরে ভোটের মাঠে মুখোমুখি হওয়া দুই সতিন হলেন- আনোয়ারা বেগম ও সুরমী আক্তার। তারা উভয়েই দুর্গাপুর পৌরসভার মেয়র ও বালু ব্যবসায়ী আলাল উদ্দিনের স্ত্রী। আলালের প্রথম স্ত্রী আনোয়ারা বেগম লড়ছেন তালা প্রতীক নিয়ে। আর ছোট স্ত্রী সুরমী আক্তারের প্রতীক অটোরিকশা।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, একই পদে তারা দুজন ছাড়াও জুয়েল মিয়া ও মো. আবদুল করিম নামে দুই পুরুষ প্রার্থীও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
জানা যায়, আলালের প্রথম স্ত্রী আনোয়ারা বেগম দুর্গাপুর পৌরশহরের আত্রাখালী এলাকায় বসবাস করেন। আর সুরমী আক্তারকে নিয়ে আলাল শহরের তেরিবাজার এলাকায় থাকেন। তবে আলাল বেশ কিছুদিন ধরে শ্বাসকষ্টসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। বর্তমানে ঢাকার শ্যামলীতে একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। তাই এ বিষয়ে তার কোনো।বক্তব্য জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: নাটোরে ১০০ টাকার জন্য প্রাণ গেল যুবকের!
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দুই সতিনের মধ্যে অনেক আগে থেকেই সম্পর্কের বৈরিতা রয়েছে। দুজনের নির্বাচনী পোস্টারেই তারা স্বামীর নাম ও পরিচয় উল্লেখ করেছেন। এই বিষয়টি নিয়ে মেয়র আরও বেশি বিব্রত এবং অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
নির্বাচনের ব্যাপারে সুরমী আক্তার বলেন, ‘আমার নির্বাচনকে সামনে রেখে স্বামী অনেক আগে থেকেই কাজ করে আসছিলেন। তা ছাড়া পারিবারিক সিদ্ধান্তেই আমি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি। কিন্তু রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ আমার সতিন আনোয়ারা বেগমকে প্রার্থী করেছে।’
অন্যদিকে আনোয়ারা বেগম বলেন, ‘মেয়রের যখন কিছুই ছিল না, তখন আমিই তাকে আঁকড়ে রেখেছি। এখন তার টাকা-পয়সা, প্রতিপত্তি সব হয়েছে। তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করে স্ত্রীকে নিয়ে আলাদা থাকেন। ওই নারী যা বলেন, মেয়র তাই করেন। এবার আমার কর্মী-সমর্থকরা আমাকে জেলা পরিষদের সদস্য হিসেবে দেখতে চান। তাদের সমর্থনে আমি প্রার্থী হয়েছি।’