নেপিডো শহর: মিয়ানমারের ভূতের রাজধানী!

মিয়ানমার আমাদের প্রতিবেশী একটি রাষ্ট্র। প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমার সম্পর্কে আমাদের ধারণা হয়তো খুব একটা বেশি নয়। তবে বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের বসবাসের বিষয়টি সকলেরই জানা। কিন্তু এই প্রতিবেশী দেশের রাজধানী সম্পর্কে আমরা ঠিক কতটা জানি। শুধু আমাদের কাছেই নয়, পৃথিবীর অনেকেই হয়তো মিয়ানমারের রাজধানীর নামই জানেন না। আমরা জানিনা প্রতিবেশী দেশের রাজধানী সম্পর্কে। আমরা অনেকেই মিয়ানমারের রাজধানীর নাম জানি রেঙ্গুন বা ইয়াঙ্গুন। কিন্তু না, এটি এখন আর মিয়ানমারের রাজধানী নয়। সমুদ্র উপকূলে অবস্থিত রেঙ্গুন শহরটি এখন আর মিয়ানমারের রাজধানী নয়। মিয়ানমারের বর্তমান রাজধানীর নাম নেপিডো। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন! নেপিডো মিয়ানমারের বর্তমান রাজধানী। বিশাল এই শহরে মানুষের বসবাস খুবই কম। জানলে হয়তো অবাক হবেন- নেপিডো শহরকে মিয়ানমারের ভূতের রাজধানীও বলা হয়। ভূতের রাজধানী নেপিডোর দখলে মিয়ানমারের রাজধানীর মুকুট থাকলে নেই তেমন জনগণ।
মিয়ানমারের ইতিহাস:
আজকের মিয়ানমারও একসময় মিয়ানমার ছিল না। তাই নেপিডো সম্পর্কে জানার আগে আমাদেরকে মিয়ানমারের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে হবে।
মিয়ানমারের নাম একসময় বার্মা ছিল। মিয়ানমারের সর্ববৃহৎ সম্প্রদায় ‘বামার’ থেকে বার্মা নামটি এসেছে। সাম্প্রদায়িকতা যে দেশটির রন্ধ্রে রন্ধে মিশে আছে তা এর নাম থেকেই বোঝা যায়।
এককালে একাধিক ছোটো ছোটো স্বাধীন রাষ্ট্রে বিভক্ত ছিল আজকের মিয়ানমার বা পূর্বের বার্মা। রাজা অনরথ পাগান ১০৪৪ সালে রাষ্ট্রের সিংহাসনে বসেন। ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা রাষ্ট্রগুলোকে তিনিই প্রথম একত্রিত করে একটি একচ্ছত্র রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করেন। পাগান প্রদেশটিকে করা হয় তার রাজধানী। বার্মার রাজা অনরথের রাজত্বকালকে তাই স্বর্ণকাল বলা চলে। বৌদ্ধধর্মে অতিমাত্রায় অনুরক্ত ছিলেন এই রাজা অনরথ পাগান। তাই তিনি শহরজুড়ে অনেক মন্দির ও প্যাগোডা নির্মাণ করেন। এছাড়া এই রাজত্বকে তিনি শিল্প, সংস্কৃতি ও শিক্ষায় অনেক সমৃদ্ধ করেন। তবে রাজতন্ত্রে রাজ্য বেশিদিন টিকিয়ে রাখাটাও একটা অনিশ্চিত ব্যাপার। ফলে পাগান রাজত্ব ভেঙ্গে পড়ে ত্রয়োদশ শতকের শেষের দিকে।
আরও পড়ুন# হুমায়ূন আহমেদ : বাংলা সাহিত্যের রাজপুত্র
পাগান সাম্রাজ্য একদিক থেকে ‘শন’ ও আরেকদিক থেকে ‘মোঙ্গল’ জাতি দখল করে। আর একে ভেঙ্গে পুনরায় ছোট ছোট রাষ্ট্রে পরিণত চারটি অঞ্চলে বিভক্ত হয়ে পড়ে- উচ্চ বার্মা, নিম্ন বার্মা, শন প্রদেশ ও আরাকান প্রদেশ। স্বাভাবিকভাবেই এসব প্রদেশের মধ্যে যুদ্ধ-বিগ্রহ লেগে থাকতো। রাজা থালুন ১৬৩৫ সালে বিশৃঙ্খল অঞ্চলগুলোর দখল নিয়ে দেশটিকে একক সীমারেখার ভেতর নিয়ে আসেন। তবে বার্মায় তার অধীনে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আসে। আর তা দীর্ঘদিন বিরাজ করে। তবে এর পরও যুদ্ধ বিগ্রহ থেমে থাকেনি। অবশ্য পরবর্তী রাজবংশগুলো ক্ষমতার সাথে যুদ্ধেরও উত্তরাধিকারিতা লাভ করে। এর পরবর্তী সময়ে রাজা বোধপায়া যিনি ছিলেন কংবং রাজবংশের রাজা। তারপর তার নাতি অলংপায়া সফল শাসক হিসেবে বার্মার ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হন।
নেপিডো এর ইতিহাস:
বর্তমান মিয়ানমার অনেক আগে থেকেই বার্মা নামে পরিচিত ছিল। মিয়ানমারের নাম ইউনিয়ন অব বার্মা থেকে ইউনিয়ন অব মিয়ানমারে পরিবর্তন করা হয় ১৯৮৯ সালে। অতীতে বার্মা রাজ্যের রাজধানী ছিল রেঙ্গুন। তখন দেশের রাজধানীর নাম পরিবর্তন করা হয়। দেশটির রাজধানীর নাম রেঙ্গুন থেকে হয়ে যায় ইয়াঙ্গুন। এর পরবর্তীতে শুধু নামে নয়, ভৌগোলিকভাবেও দেশটির রাজধানী পরিবর্তিত হয়েছে। কিন্তু বর্তমান মিয়ানমারের রাজধানী আবারও পরিবর্তন হয়। বর্তমান রাজধানীর নাম হলো নেপিডো। বলে রাখা ভালো, নতুন রাজধানী অত্যন্ত গোপনে গড়ে তোলা হয়েছে। নেপিডো শহরটি শূণ্য থেকে গড়ে তোলা হয়েছে। ২০০২ সাল থেকে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা সরকার নতুন রাজধানী নির্মাণের কাজ শুরু করেন। কিন্তু মিয়ানমারের নেতারা তাদের রাজধানী বাতিলের সিদ্ধান্ত জনগণকে আরও পরে জানায়। ২০০৫ সালে তখনো নতুন রাজধানীর নাম গোপন রাখা হয়। সেই ঘোষণার ৪ মাস পরে জানানো হয়, নতুন রাজধানীর নাম। সেই নতুন নামটি হল নেপিডো যার অর্থ রাজাদের বাসভূমি। মিয়ানমার সরকার নেপিডোকে রাজধানীর মর্যাদা দেয় ২০০৬ সালের মার্চ মাসে। তবে ২০১২ সালে শহরটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়। কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল নামের একটি স্বতন্ত্র প্রশাসনিক বিভাগে নেপিডো শহরটির অবস্থান।
মিয়ানমারের আধুনিক রাজধানী নেপিডো
মিয়ানমারের আধুনিক রাজধানী নেপিডো শহরের আয়তন প্রায় ৭ হাজার বর্গ কিলোমিটার। যা মূলত লন্ডন শহরের প্রায় চার গুণ বড়। নেপিডো শহরটি খুবই পরিকল্পিত একটি শহর এবং অত্যন্ত সাজানো-গোছানো। শহরটি অনেকটা অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরা এবং ব্রাজিলের রাজধানী ব্রাসিলিয়া মত। মিয়ানমারেই প্রথম কিন্তু রাজধানী পরিবর্তনের বিষয়টি ঘটেনি। নানা কারণে অতীতেও নতুন শাসকের হাত ধরে বহু সাম্রাজ্যের রাজধানী পরিবর্তিত হয়েছে। যথাযথ কারণে আধুনিককালে পাকিস্তান, নাইজেরিয়া, কাজাকিস্তান, ব্রাজিলের মতো দেশগুলো তাদের রাজধানী পরিবর্তন করেছে । কিন্তু মিয়ানমারের রাজধানী পরিবর্তনের আদৌ কোনো সঠিক কারণ জানা যায় না। অনেকেই মনে করেন পুরাতন রাজধানী ইয়াঙ্গুন সমুদ্রের কাছে অবস্থিত। সে কারণে সামরিক নেতারা সমুদ্রপথের রাজধানীতে হামলা হওয়ার আশঙ্কা করছিল। আবার অনেকে মনে করেন কোনো জ্যোতিষীর পরামর্শে এই রাজধানী স্থানান্তরিত হতে পারে। যদিও এগুলোর চেয়েও অনেক জোরালো কারণ এর সাবেক রাজধানীতে আছে। প্রায় ৭০ লক্ষের বেশি মানুষ রেঙ্গুনে বসবাস করে। সেজন্য রেঙ্গুন শহরটি নতুন অবকাঠামো নির্মাণের প্রায় শেষ সীমায় পৌঁছে গিয়েছে। অর্থাৎ রেঙ্গুনে খুব বেশি খালি জায়গা অবশিষ্ট নেই। শুধুমাত্র ঠিক একই কারণে নগর পরিকল্পনাবিদরা মনে করেন বাংলাদেশের রাজধানীও ঢাকা থেকে অন্য কোথাও সরানো উচিত। এছাড়া ২০৫০ সালের মধ্যে শহরের জনসংখ্যা দ্বিগুণ হবার সম্ভাবনা আছে।
উপমহাদেশে ব্রিটিশ শাসনের সময় রেঙ্গুন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। ব্রিটিশ নৌবাহিনীর যাতায়াতের সুবিধার কারণেই উপকূলীয় অঞ্চলে শহরটি গড়ে তোলা হয়েছিল। পরবর্তীতে মিয়ানমারের রাজধানী এখানেই প্রতিষ্ঠিত হয়। কিন্তু রেঙ্গুন ভৌগোলিকভাবে মিয়ানমারের এক প্রান্তে অবস্থিত। এখান থেকে সমগ্র দেশ পরিচালনা করা যেকোনো সরকারের পক্ষেই বেশ কঠিন বিষয়। সেজন্যই দেশটির রাজধানী অনেকটা কেন্দ্রীয় অঞ্চলের দিকে নিয়ে গেছে মিয়ানমারের সামরিক শাসকেরা।
আরও পড়ুন# এপিজে আবদুল কালাম : ভারতের মিসাইল ম্যান!
অত্যন্ত দ্রুত গতিতে সম্পন্ন করা হয়েছে মিয়ানমারের নতুন রাজধানী নেপিডোর নির্মাণের প্রকল্প। মাত্র ১০ বছর সময় লেগেছে নেপিডো শহর গড়ে তুলতে। আধুনিক নেপিডো শহর গড়ে তোলার জন্য মিয়ানমারের সরকার প্রায় ৪ বিলিয়ন ডলার খরচ করেছে। নেপিডোতে দর্শনার্থীদের আকৃষ্ট করার মতো সবকিছুই আছে। প্রায় ২০ লেনের হাইওয়ের মতো প্রশস্ত এই শহরের রাস্তাগুলো। নেপিডো শহরের ভেতর থাকা তিনটি হোটেল-মোটেল জোনে ১০০ টিরও বেশি বিলাসবহুল হোটেল আছে। এছাড়াও গলফ কোর্স এবং জাদুঘর রয়েছে শহরটিতে যা মূলত পর্যটকদের আকৃষ্ট করার জন্য। তবে সবচেয়ে মজার বিষয় হলো ইয়াঙ্গুনে থাকা মিয়ানমারের সবচেয়ে বিখ্যাত স্থাপনা একটি রেপরিকাল তৈরি করা হয়েছে নেপিডোতে। ইয়াঙ্গুনে থাকা খাঁটি সোনায় মোড়া বিখ্যাত স্থাপনা নাম যার নাম শ্বেডাগন প্যাগোডা। আর নেপিডোতে তৈরি কারা হয়েছে শ্বেডাগন প্যাগোডার হুবহু অনুকরণে একটি প্যাগডা যার নাম উপত শান্তি প্যাগোডা। ৩২০ ফুটের এই প্যাগডায় গৌতম বুদ্ধের একটি দাঁত সংরক্ষিত আছে।
নেপিডোতে রয়েছে মিয়ানমার সরকারের আইনসভা সর্বোচ্চ আদালত, রাষ্ট্রপতির প্রাসাদ, মন্ত্রিসভার সরকারি বাসভবন, মন্ত্রণালয়সমূহের সদরদপ্তর এবং মিয়ানমার সেনাবাহিনীর প্রধান কার্যালয়। বহু জায়গা ফাঁকা রাখা হয়েছে শুধুমাত্র বিভিন্ন দেশের দূতাবাস নির্মাণের জন্য। নেপিডোতে যদিও এখন পর্যন্ত শুধুমাত্র বাংলাদেশের একটি দেশের দূতাবাস রয়েছে। বাংলাদেশ বাদে বাকি দেশগুলো দূতাবাস এখনো ইয়াঙ্গুনে অবস্থিত। তবে রাজধানী শহরের সবকিছু থাকলেও নেপিডো শহরের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অনুপস্থিত, সেটি হলো জনগণ।
নেপিডো-কে ভূতের রাজধানী বলার কারণ:
রেঙ্গুনের তুলনায় নেপিডোতে সেভাবে কোনো অবকাঠামো গড়ে ওঠেনি। এখনও পর্যন্ত মিয়ানমারের জনগণ বসবাস ও ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য নেপিডোর পরিবর্তে রেঙ্গুনকেই বেছে নেয়। শুরুর দিকে নেপিডোতে বিলাসবহুল হোটেল, সরকারি ভবন, এপার্টমেন্ট, বিমানবন্দর ছাড়া তেমন কিছু ছিল না। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নেপিডোতে বসবাস করলেও তাদের পরিবার বাস করত রেঙ্গুনে। বিপণী বিতান, হোটেল, রেস্টুরেন্ট তেমন সুলভ ছিল না শুরুর দিকে। তবে শহরে সার্বক্ষণিক বিদ্যুতের ব্যবস্থা আছে৷
মিয়ানমারের নতুন রাজধানী নেপিডো শহরে যা নেই তা হলো জনসংখ্যা। শহরটিতে মাত্র ১০ লাখেরও কম লোক বসবাস করে। আবার রাজধানীর আশপাশের উপশহরে এদের অধিকাংশই বাস করে। কারণ এই মানুষগুলো এখানকার বাসিন্দা নেপিডো গড়ে ওঠার আগে থেকেই। লোকজন এখানে বসবাস করতে চায় না তার মূল কারণ হলো স্বাস্থ্যসেবার ঘাটতি ও উন্নত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অনুপস্থিতি। অবকাঠামোগত দিক থেকে যথেষ্ট উন্নত হলেও অর্থনৈতিক সুযোগ সুবিধার অভাবে মিয়ানমারের অধিকাংশ লোক তাদের নতুন রাজধানী শহরে বসবাস করতে চায় না। জনমানবহীন হবার কারণে এই শহরটি ভূতের শহর হিসেবে বিশ্বব্যাপী পরিচিত। এখানকার জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে মাত্র ১৩১ জন । তার কারণ পুরো শহরের সিংহভাগ জায়গায় এখনও ফাঁকা।
নেপিডো শহরের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলো এখানকার রাস্তা। অধিকাংশ রাস্তায় প্রায় ২০ লেনের প্রশস্ত হাইওয়ে। কিন্তু এখানে গাড়ি চলাচল হয় না বললেই চলে। অনেক ক্ষেত্রেই শহরের একটি অবকাঠামো থেকে আরেকটি অবকাঠামোতে যেতে প্রায় ঘন্টা খানেক সময় লাগে। আর যাবার পথে প্রশস্ত রাস্তার পাশে গ্রামের দৃশ্য চোখে পড়ে। নেপিডো শহরে যে একটিমাত্র বিমানবন্দর আছে এই বিমানবন্দরটির প্রতিবছর প্রায় ৩৫ লক্ষ যাত্রীকে সেবা দিতে পারবে। কিন্তু ব্যস্ততার মধ্যেও হাতে গোনা মাত্র ১০-১২ জন লোক বিমানবন্দরটি ব্যবহার করে।সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তাদের যাতায়াতের কাজে নেপিডোর বিমানবন্দর ব্যবহৃত হয়। এখানকার শপিংমলগুলোও একইরকম ফাঁকা। শুধুমাত্র কূটনৈতিক ব্যক্তিরা এখানকার শপিংমল থেকে শপিং করেন। নেপিডোর বিলাসবহুল হোটেল গুলো সম্পূর্ণ ফাঁকা পড়ে থাকে। প্রকৃতপক্ষে বহু অর্থে নির্মিত এই রাজধানী শহর। যা এখনও মরুভূমির মতো খাঁ খাঁ করছে। যদিও অনেকেই নেপিডোতে উন্নত ভবিষ্যৎ দেখছেন। এর মূল কারণ শহরটি তৈরি করা হয়েছে ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে। জনসংখ্যার বিস্ফোরণ ঘটলে অদূর ভবিষ্যতে শহরটি মিয়ানমারের জন্য বেশ কার্যকরী আবাস হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। হয়তো নেপিডো তখন ভূতের শহর বলার হাত থেকে মুক্তি পাবে।
পরিশেষে বলা যায় যে, নেপিডো আধুনিক মায়ানমারের আধুনিক রাজধানী। নেপিডো একটি গোছালো ও পরিপাটি শহর। নেপিডোতে আধুনিক জীবন-যাপনের সব ব্যবস্থা থাকলেও কিছু খাতে এখনও উন্নয়ন হয়নি। আশা করা যায়, অদূর ভবিষ্যতে সে সমস্যার সমাধান হবে। জনমানবহীন রাজধানী নেপিডো ভূতের শহরের পরিবর্তে পরিণত হবে কোলাহলপূর্ণ ব্যস্ততম শহরে।