
নড়াইলে সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনায় ২০০ থেকে ২৫০ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাতে লোহাগড়া থানার এসআই মাকরুফ রহমান বাদী হয়ে এ মামলাটি করেন।
দায়েরকৃত মামলায় এ পর্যন্ত ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার অভিযান চলমান আছে। বাকি আসামিদেরও দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানিয়েছে নড়াইলের পুলিশ সুপার প্রবীর কুমার রায়।
গত ১৬ জুলাই রাতে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে দিঘলিয়া গ্রামের সালাহ উদ্দীন কচি বাদী হয়ে আকাশ সাহার বিরুদ্ধে মামলা করেন। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে, বর্তমানে তিনি ৩ দিনের রিমান্ডে আছেন।
এদিকে হামলার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিচারের দাবিতে রাজধানীতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টিসহ (সিপিবি) বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও বামপন্থী ছাত্রসংগঠন। এসব কর্মসূচিতে বলা হয়, বাংলাদেশের মতো একটি অসাম্প্রদায়িক দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের চেষ্টা করা হচ্ছে। অপরাধের সাথে জড়িত ও মদদদাতাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হওয়ার কারণে এসব ঘটনা বেড়ে চলেছে। এর দায় নিতে হবে সরকারকে।
নড়াইলের লোহাগড়া থানার দিঘলিয়া গ্রামের সাহাপাড়ায় গত শুক্রবার রাতে সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা ঘটে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে মহানবি হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগ তুলে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বসতবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা করা হয়। একটি বাড়িতে আগুন দেওয়া হয় এবং ভাঙচুর করা হয় কয়েকটি মন্দির ও দোকানে।
আরও পড়ুন: ফেসবুকে কথিত ‘ধর্ম অবমাননার’ অভিযোগ, নড়াইলে হিন্দু মন্দির-বাড়িতে আগুন!