
গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর রাতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) দুই ছাত্রীকে হেনস্তার ঘটনায় ১ বছরের জন্য বহিষ্কার হওয়া রাকিব হাসান (আর এইচ রাজু) ও ইমন আহমেদ পরীক্ষা দিয়েছেন! তারা দু’জনই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের ২০১৯-২০২০ সেশনের শিক্ষার্থী।
বুধবার (৩ আগস্ট) থেকে দর্শন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা শুরু হলে তাতে অংশগ্রহণ করেন তারা। এতে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। বহিষ্কৃত হয়েও কীভাবে তারা পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পেলেন এ বিষয়ে জানতে চাইলে বহিষ্কারের কোনো চিঠি রেজিস্ট্রার অফিস থেকে পাননি বলে জানিয়েছেন দর্শন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক আবদুল মান্নান। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা রেজিস্ট্রার কার্যালয় থেকে বহিষ্কারের কোনো চিঠি পাইনি। এমনকি এ দুই ছাত্রকে যে বহিষ্কার করা হয়েছে, তাও বিভাগকে জানানো হয়নি। যতক্ষণ না পর্যন্ত আমরা বহিষ্কার আদেশ পাব, ততক্ষণ পর্যন্ত দুই ছাত্রের পরীক্ষা দেওয়া বৈধ। তাই তাদের পরীক্ষায় বসার ব্যাপারে আইনত কোনো বাঁধা নেই।
আরও পড়ুন# প্রক্সি পরীক্ষার্থী প্রথম হলেন রাবিতে!
তবে বহিষ্কৃরতরা পরীক্ষা দিলেও তা আপনা-আপনি বাতিল হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক এসএম মনিরুল হাসান। তিনি বলেন, সিদ্ধান্ত গ্রহণের পরদিন থেকেই তাদের বহিষ্কার আদেশ কার্যকর হবে। তাই এর মধ্যে যদি কেউ পরীক্ষা দিয়েও থাকেন, তাদের পরীক্ষা বাতিল হবে। বিভাগে কেন চিঠি পাঠানো হয়নি তা জানতে চাইলে চবি রেজিস্ট্রার বলেন, বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত সভায় হয়েছিল। এ সভার লিখিত কোনো আদেশ এখনো তৈরি হয়নি। তাই আমরা বিভাগে চিঠি পাঠাইনি। তবে প্রজ্ঞাপন পাওয়া মাত্র খুব দ্রুতই চিঠি পাঠানো হবে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে সাংবাদিকতা বিভাগের দুই ছাত্রীকে হেনস্তা ও নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে চার শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনার ১০ মাস পর গত ২৫ জুলাই যৌন নিপীড়ন বিরোধী আন্দোলনের মুখে পড়ে ওই চারজনকে এক বছরের জন্যে বহিষ্কার করে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বহিষ্কৃত চার ছাত্ররা হলেন, আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী মো. জুনায়েদ, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী রুবেল হাসান, দর্শন বিভাগের ইমন আহাম্মেদ এবং রাকিব হাসান (আর এইচ রাজু)। তারা প্রত্যেকেই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।