
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় ‘বি’ ইউনিটে প্রক্সি দিয়ে দশম স্থান অর্জন করেছে, কিন্তু ভর্তি হতে গিয়ে ধরা পড়ল!
জানা যায়, এবার জাবিতে ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ার গৌরীপুরের আব্দুল লতিফের ছেলে মো. মিনহাজুল আবেদীন আল-আমীন দশম হন৷ এরপর তিনি মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) আইন ও বিচার বিভাগে ভর্তির জন্য এলে তার হাতের লেখা ও স্বাক্ষরের মিল না থাকায় তাকে আটক করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এবং তিনি বলেন, তার হয়ে তিন লাখ টাকা চুক্তিতে পরীক্ষা দিয়েছিল অন্য একজন (প্রক্সি)।
উল্লেখ্য, মো. মিনহাজুল ময়মনসিংহ সরকারি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) এবং ফুলবাড়িয়ার আল হেরা একাডেমি থেকে মাধ্যমিক (এসএসসি) পাস করেছেন।
এই বিষয়ে আইন অনুষদের ডিন তাপস কুমার দাস বলেন— জাবিতে ভর্তি হতে গেলে চেয়ারম্যানের স্বাক্ষরের প্রয়োজন পড়ে এবং তখন দ্বিতীয় বার চান্স পাওয়া শিক্ষার্থীদের হাতের লেখা যাচাই করা হয়। আর এই যাচাইয়ে মিনহাজুলের হাতের লেখায় পার্থক্য লক্ষ্য করা যায় এবং তাকে সন্দেহ করা হয়। পরে তাকে জাবির কতৃপক্ষ নিরাপত্তা শাখায় হস্তান্তর করে। তিনি আরও বলেন, এই ধরনের অপরাধ এড়াতে তারা ভর্তি পরীক্ষায় বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালু করার প্রয়োজন মনে করেন।
আরও পড়ুন: ১৫ দিন ধরে নিখোঁজ কুমিল্লার সাত কলেজ শিক্ষার্থী!
মিনহাজুল প্রক্টর অফিসে জিজ্ঞাসাবাদে, ‘ভর্তি পরীক্ষায় তার অপরাধের কথা স্বীকার করে এবং বলেন— ‘ভর্তি পরীক্ষার সময় আমার হয়ে অন্য একজন পরীক্ষা দিয়েছিলেন। বিনিময়ে তাকে তিন লাখ টাকা দিতে হয়েছে। তবে যে পরীক্ষা দিয়েছে তাকে আমি চিনি না। এক রিলেটিভ তার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল।’
এই বিষয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহিন জানান— ‘পরীক্ষার উত্তরপত্রের সঙ্গে অভিযুক্তের হাতের লেখার মিল না থাকায় আমরা তাকে নিরাপত্তা শাখায় এনে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করি। তার মোবাইল ফোন তল্লাশি করে জালিয়াতির বিষয়ে সত্যতা পাওয়া যায়। তার হোয়াটসঅ্যাপে পাওয়া বিভিন্ন ছবি ও পরীক্ষা দেওয়া ব্যক্তির সঙ্গে কথপোকথনের মাধ্যমে আমরা বিষয়টি নিশ্চিত হই। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী মামলা দায়ের করে তাকে আশুলিয়া থানায় সোপর্দ করা হয়।’