
গত দুই সপ্তাহ ধরে সারা দেশে চলছে প্রচণ্ড দাবদাহ। গতকাল শনিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কোথাও কোথাও মৃদু বৃষ্টিপাত হলেও তাপমাত্রা ছিল একইরকম। ধারণা করা হচ্ছে জুলাই মাস ধরেই সারাদেশে এমন তাপমাত্রা বিরাজ করবে।
বৈশ্বিক আবহাওয়ার অস্বাভাবিক পরিবর্তনের প্রভাব পরোক্ষভাবে বাংলাদেশের ওপরেও পড়ছে। বছরের বড় সময়জুড়ে আবহাওয়ার এমন পরিস্থিতি থাকতে পারে। প্রশান্ত মহাসাগরজুড়ে এখন আবহাওয়ার বিশেষ অবস্থা এল নিনো সাউদার্ন ওসিলিয়েশন–এনসো এবং ভারত মহাসাগর ও বঙ্গোপসাগরে ‘দ্বিচক্র–আইওডি’র প্রভাব তৈরি হয়েছে। এর প্রভাবে বর্ষার প্রধান উৎস মৌসুমি বায়ু একবার নিষ্ক্রিয় ও আরেকবার সক্রিয় আচরণ করছে।
এ ব্যাপারে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বলেন, মৌসুমি বায়ুর অক্ষরেখা ভারতের গুজরাট ও পাকিস্তানে অবস্থান করায় সেখানে বৃষ্টি হচ্ছে। আর বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে মেঘ–বৃষ্টি না থাকায় রোদের কিরণ পড়ছে সরাসরি। যে কারণে বেশি গরম অনুভূত হচ্ছে। আগামী দু–তিন দিনের মধ্যে মেঘ বেড়ে কিছুটা বৃষ্টি হতে পারে। তবে জুলাইয়ের শেষে ও আগস্টের শুরুতে বৃষ্টি বেড়ে গরমের অনুভূতি কমার সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ শাহনাজ সুলতানা বলেন, বৃষ্টির প্রধান উপাদান মৌসুমি বায়ু আসে দক্ষিণ দিক থেকে। সেখানে সমুদ্রপৃষ্ঠের ওপরের অংশে তাপমাত্রা বেশি থাকায় ওই দিক থেকে বাতাস এলেও তা গরম থাকছে। যার ফলে বাতাসও পাওয়া যায়, আবার গরমও অনুভূত হয়। তা ছাড়া বৃষ্টিও কয়েক দিন ধরে হচ্ছে না। এসব কারণে প্রাকৃতিক ভাবে যত গরম পড়ছে, অনুভূত হচ্ছে তার চেয়ে বেশি।
আরও পড়ুন# তীব্র গরম ও তাপদাহ থাকবে আরও দুই দিন!