জাতীয়সন্দেশ

প্রতারণা করে হতে চেয়েছিলেন ভোটার, ধরা খেয়ে যেতে হলো থানায়!

হবিগঞ্জ জেলার চুনারঘাটের ৫ নং শানখলা ইউনিয়ন পরিষদে প্রতারণা করে ভোটার হতে গিয়ে ধরা খেল ১২ জন কিশোরী। এ সময় আরও ২৫ জনের মতো কিশোরী একই কাণ্ড ঘটাতে গিয়ে পালিয়ে যায়।

জানা যায়, ওই ইউনিয়নে চলছিল ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম। এ সময় সিলেট, সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে এসে প্রতারণা করে ভোটার হতে চেয়েছিল ওই ১২ কিশোরী। বিষয়টি আঁচ করতে পেরে ওই কিশোরীদের আটক করে স্থানীয় লোকজনসহ ইউপি পরিষদের সদস্যরা। ১২ জনকে আটক করলেও কৌশলে পালিয়ে যায় আরও অন্তত ২৫ জন। পরে বুধবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে তাদেরকে চুনারুঘাট থানায় হস্তান্তর করা হয়।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাচন অফিসার দীপক কুমার রায় বাদী হয়ে চুনারুঘাট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

আরও পড়ুন# ১৯ জেলায় হতে পারে বজ্রবৃষ্টি, আবহাওয়ার পূর্বাভাস!

আটককৃতরা হলেন মোছা. নার্গিস আক্তার, শার্মিন আক্তার, রিতা বেগম, ছামিয়া, মাহিদা আক্তার, বৃষ্টি, যত্ন আক্তার, মোছা. মান্না আক্তার, আকলিমা, ফারজিনা আক্তার, আয়েশা আক্তার ও মোছা. রিমা আক্তার। তারা ভুয়া জন্মসনদ দেখিয়ে ভোটার হতে চেয়েছিলেন। তথ্যগত গড়মিল ও জিজ্ঞাসাবাদের পর সদুত্তর দিতে না পারায় তাদের আটক করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে তাদের দিয়ে কোনো একটি সিন্ডিকেট বৈধ উপায়ে ভুয়া এনআইডি কার্ড বানানোর চেষ্টা করছিল।

চুনারুঘাট থানার (ওসি) আলী আশরাফ জানান, ১২ জনকে থানায় রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার দীপক কুমার রায় বাদি হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার দীপক কুমার রায় জানান, এভাবে প্রতারণা করে ভোটার হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। যারা এমন প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। আমাদের কোনো লোক এতে জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Back to top button

Opps, You are using ads blocker!

প্রিয় পাঠক, আপনি অ্যাড ব্লকার ব্যবহার করছেন, যার ফলে আমরা রেভেনিউ হারাচ্ছি, দয়া করে অ্যাড ব্লকারটি বন্ধ করুন।