
বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করা লঘুচাপটি বর্তমানে পশ্চিম মধ্য-বঙ্গোপসাগর ও এর কাছাকাছি উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে। এ কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
এছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগরে ও গভীর সমুদ্রে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা, ট্রলার ও নৌযানসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেইসাথে তাদের গভীর সমুদ্রে বিচরণ করতে নিষেধ করা হয়েছে।
আবহাওয়া অঅধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব ও পূর্ব মধ্য-বঙ্গোপসাগর ও এর আশপাশের উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি বর্তমানে পশ্চিম মধ্য-বঙ্গোপসাগর ও এর কাছাকাছি উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও ঘণীভূত হয়ে উপকূলে আঘাত হানতে পারে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও এর কাছাকাছি এলাকায় গভীর সঞ্চারণশীল মেঘমালার সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। সমুদ্র বন্দরসমূহ, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় যেমন, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বরিশাল, নোয়াখালী অঞ্চলে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। পরবর্তী তিন দিনে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা আরও বাড়তে পারে।
আরও পড়ুন# প্রকাশিত হলো মেট্রো রেলের ভাড়ার তালিকা!
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, মৌসুমি বায়ুর অক্ষ ভারতের রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, অন্ধ প্রদেশ, সুস্পষ্ট লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে ভারতের পশ্চিমের রাজ্য আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় অবস্থানে আছে এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরের অন্যত্র মাঝারি থেকে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।
শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও খুলনা বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ, রংপুর, রাজশাহী ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বাতাস ও বিদ্যুৎ চমকানোসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। সেইসাথে দেশের কোথাও কোথাও বিচ্ছিন্নভাবে মাঝারি ধরণের ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে।