
দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে পরীক্ষামূলকভাবে উৎপাদন শুরু করার মাত্র তিন দিনের মাথায় ভূগর্ভে কর্মরত ৫২ জন শ্রমিক করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এ কারণে কয়লা উত্তোলন সাময়কিভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে চলছে যন্ত্রপাতি সমন্বয়ের কাজ। পরিস্থিতি ভাল হলে আগামী ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে পুনরায় কয়লা উত্তোলন শুরু হবে বলে আশাবাদী কর্তৃপক্ষ।
নির্ধারিত সময়ের ২০ দিন আগে গত বুধবার (২৭ জুলাই) প্রাথমিকভাবে কয়লা উত্তোলন শুরু হয়। গত মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) খনির ভূগর্ভে কর্মরত ১৪৩ জন শ্রমিকের করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়। তাদের মধ্যে করোনা শনাক্ত হয় ১৬ জনের। পরদিন আরও ৩০৫ জনের পরীক্ষা করা হলে আরও ৩৪ জন শনাক্ত হন।
খনির একটি ফ্লোরের সমস্ত বাংলাদেশি শ্রমিকদের খনির বাইরে বের করে আনা হয়েছে এবং অধিকাংশ বিদেশি শ্রমিককে কর্মবিরতি দেওয়া হয়েছে। ফলে তিন দিনের মাথায় আবারও বন্ধ হয়ে গেলো কয়লা উত্তোলন।
উল্লেখ্য, প্রায় তিন মাস বন্ধ থাকার পর বুধবার খনির নতুন ফেজ থেকে পরীক্ষামূলকভাবে কয়লা উত্তোলন শুরু হয়। গত ১ মে খনির ১৩১০ নম্বর ফেজ বা কূপ থেকে কয়লা উত্তোলন শেষ হওয়ার পর কূপটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। এরপর পরিত্যক্ত ফেজ থেকে নতুন ফেজে যন্ত্রপাতি স্থানান্তর ও সংস্কার কাজ শেষ করে আগস্টের মাঝামাঝি খনির নতুন ১৩০৬ নম্বর ফেজ থেকে কয়লা উৎপাদন শুরু হবার কথা ছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের ২০ দিন আগেই গত বুধবার পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান নাজমুল হাসান ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে কয়লা উত্তোলন কাজের উদ্বোধন করেন।