বন্ধুর বিয়েতে দাওয়াত না দেওয়ায় বিক্ষোভ ও সমাবেশ!

বন্ধুর বিয়েতে দাওয়াত না দেওয়ায় বিক্ষোভ ও সমাবেশ
বাউফল মডেল উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এসএসসি ২০১৫ ব্যাচের শিক্ষার্থী রফিকুল ইসলাম রনি তার বিয়ে সম্পাদন করার সময় বিয়েতে কোনো বন্ধুকে দাওয়াত না দেওয়ায় বাউফল মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০১৫ ব্যাচের শিক্ষার্থী অর্থাৎ তার বন্ধুরা একটি বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধনসহ তার পাশাপাশি, বন্ধু রনির বিবাহ জীবন সুন্দর হতে তার জন্য দোয়া মাহফিল এর আয়োজন করে। তাদের দাবি- একটা বছরের ৩৬৫ দিন তাদের সাথে ঘুরাফেরা করে কিন্তু হঠাৎ করে বন্ধুদের না জানিয়ে সে বিয়ে করে ফেলে। তারা শুধু দাওয়াতের জন্যই বিক্ষোভ সমাবেশ করেনি, সমাবেশ করেছে তাদের ব্যাচের পরবর্তীতে কেউ বিবাহ কার্য সম্পাদন করলে সম্মানের সহিত তাদেরকে দাওয়াত ও আপ্যায়নের ব্যবস্থা করতে হবে! না হলে বন্ধুর বিয়েতে দাওয়াত পাবার এ আন্দোলন চলেছে, আজীবন চলবে; বলে বিক্ষোভকারীরা জানায়।
এ বিষয়ে বিক্ষোভরত অবস্থায় একজন বক্তব্য দিয়ে তাদের পুরো বিষয়টা পরিস্কার করেন! আর সে বক্তব্যটা নিচে তুলে ধরা হলো-
“আমাদের কাছের বন্ধু রফিকুল রনি বিবাহ কার্য সম্পাদন করেছেন এ জন্য আমরা সবাই আলহামদুলিল্লাহ্ বলি।
আমি সতীর্থ বন্ধুগণ ও শিক্ষার্থীবৃন্ধ সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে আজকের বিক্ষোভ সমাবেশের বক্তব্য শুরু করছি। আজ আমরা দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে সব বন্ধুরা একত্রিত হয়েছি। বছরের প্রত্যেকটা দিন সবার জন্য সমান গুরুত্ববহন করে না। কিছু কিছু দিন আসে নতুন প্রেমোজ্জ্বল স্বপ্ন ও উদ্দীপনা নিয়ে! তেমনি একটি দিন ১৯-০৩-২০২১ই।
আরও পড়ুন: “I Am Kalam” মুভি রিভিউ!
এই দিনে আমাদেরও একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন ছিল। আর এই দিনে আমাদেরই একজন বন্ধু জনাব রফিকুল ইসলাম রনি সে তার জীবনের প্রথম বিবাহ সম্পাদন করেছে। কিন্তু সেখানে সে আমাদেরকে এ ব্যাপারে কোনো অবগত করেনি। আর সেটা কোনো ভাবেই “ব্যাচেলর অব ব্যাচ-১৫” গ্রুপ মেনে নিতে পারেনি।
সুতরাং আমরা সবাই মিলে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, যত দিন পর্যন্ত রনির কোনো সঠিক বক্তব্য পাচ্ছি না এবং আমাদের দাবি গুলো না মেনে নেওয়া হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত আমাদের এ বিক্ষোভ ও সমাবেশ আন্দোলন চালিয়ে যাব ইনশাআল্লাহ।
এখানেই শেষ নয়, আমাদের এ বিক্ষোভ এর মুল উদ্দেশ্য হচ্ছে যে, কঠোর হুশিয়ারের মাধ্যমে জানানো যাচ্ছে যে, ব্যাচেলর অব ব্যাচ-১৫ এর কেউ যদি কোনো কারণ বশত কাউকে না জানিয়ে বা পালিয়ে প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় যেকোনো বিয়েই করুক না কেনো আমাদেরকে রাজি খুশি করার মাধ্যমে সে কার্য সাধন করতে হবে। আর এ ছাড়া কেউ বিয়ে করলে তাদের ব্যাপারে কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
আর যেহেতু আমাদের বন্ধু রফিকুল ইসলাম রনি ভুলবশত বিবাহ কার্য সম্পাদন করিয়েছেন তাই বন্ধু হিসেবে আমাদের কিছু দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে আর সেটা হলো তার দাম্পত্য জীবন যাতে সুখে শান্তিতে কাটে সে জন্য দোয়া করা।
আর এভাবেই তারা বন্ধুর বিয়েতে দাওয়াত না দেওয়ায় বিক্ষোভ ও সমাবেশ এ- বন্ধুর জন্য দোয়ার মাধ্যমে তাদের সমাবেশ সমাপ্তি করে।