বরিশালের গৌরনদী উপজেলায় দশম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীকে (১৫) অপহরণ করে খুলনা ও ঢাকায় ৫ দিন আটকে রেখে ধ’র্ষ’ণ করার অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে।
জানা যায়, গত শুক্রবার (২সেপ্টেম্বর) দুপুরে ধ’র্ষ’ণের শিকার হওয়া স্কুলছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে অপহরণ ও ধ’র্ষ’ণে’র অভিযোগ আনে শহিদুল শিকদার (৪২) নামক এক ব্যক্তির ওপর এবং ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে গৌরনদী থানায় মামলা দায়ের করেন।
ধ’র্ষ’ণ মামলায় অভিযুক্ত শহিদুল শিকদার গৌরনদী উপজেলার বার্থী ইউনিয়নের বড়দুলালী গ্রামের গিয়াস উদ্দিন শিকদারের ছেলে।
এছাড়াও মামলা সূত্রে জানা যায়, স্কুলছাত্রী ও শহিদুল শিকদারের বাড়ি একই এলাকায়। আর শহিদুল ওই স্কুল ছাত্রীকে দীর্ঘদিন ধরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন।
তবে স্কুলছাত্রী ওই কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হন শহিদুল। আর এই ক্ষিপ্ততার জেরেই গত ২৭ আগস্ট সকাল ৯টার দিকে যখন স্কুলছাত্রী স্কুলে যাচ্ছিল, তখন তাকে অপহরণ করে আশোকাঠী এলাকায় নিয়ে যান।
আরও পড়ুন# বাংলাদেশি মেয়েকে বিয়ের পর পালালেন ইতালীয় যুবক!
এরপর, সেখান হতে রাতে শহিদুল স্কুলছাত্রীকে তার এক বন্ধুর বাসা খুলনায় নিয়ে যান। এরপর শহিদুল খুলনার সেই বাসায় স্কুলছাত্রীকে আটকে রেখে একাধিকবার ধ’র্ষ’ণ করেন।
তারপর, শহিদুল ৩১ আগস্ট ঢাকায় নিয়ে যায় স্কুলছাত্রীকে। সেখানে একটি বাসায় আটকে রাখেন এবং সেখানেও তাকে ধ’র্ষ’ণ করা হয়।
স্কুলছাত্রী সেখান হতে সুযোগ পেয়ে কৌশলে পালিয়ে গতকাল (১সেপ্টেম্বর) নিজ বাড়ি গৌরনদী আসেন। আর বাড়ি ফিরে সে তার বাবা-মায়ের কাছে সব বর্ণনা করে এবং এরপর সেই স্কুলছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।
এই বিষয়ে, গৌরনদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আফজাল হোসেন জানান, মামলা দায়ের করার পর ২২ ধারায় স্কুলছাত্রীকে জবানবন্দি দেওয়ার জন্য ও মেডিকেল পরীক্ষার জন্য বরিশালে পাঠানো হয়েছে। আর এর পাশাপাশি আসামী শহিদুলকে গ্রেফতারের সকল চেষ্টা চালানো হচ্ছে।