খবরশিক্ষা

বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেলেন সেই বেলায়েত!

অবশেষে বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়েছেন আলোচিত বেলায়েত শেখ। রাজশাহীর বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। এর মাধ্যমে তার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির দীর্ঘদিনের আশা পূরণ হলো। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে জার্নালিজম, কমিউনিকেশন এন্ড মিডিয়া স্টাডিস বিভাগের ভর্তি পরীক্ষায় চান্স পান তিনি।

এর আগে ঢাকা, জাহাঙ্গীরনগর, চট্টগ্রাম ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় সফল না হলেও বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় তিনি সফল হয়েছেন। ভর্তি পরীক্ষায় তার রোল নং ছিল ২২৩১৩১-০০০৫।

আরও পড়ুন# ছাত্রী হোস্টেলের গোসলের ভিডিও ফাঁস, ৮ জনের আত্মহ’ত্যাচেষ্টা!

বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নালিজম, কমিউনিকেশন এন্ড মিডিয়া স্টাডিস বিভাগের কো-অর্ডিনেটর মো. শাতিল সিরাজ বলেন, অনুষ্ঠিত ৬০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায় তিনি ৩২ নম্বর এবং অন্যান্য একাডেমিক ক্যারিয়ারের জন্য পেয়েছেন ৩৬ নম্বর। সবমিলে ১০০ নম্বরের পরীক্ষায় ৬৮ নম্বর পেয়ে ভর্তির জন্য নির্বাচিত হয়েছেন বেলায়েত।

এ প্রসঙ্গে বেলায়েত শেখ জানান, আমি এবার বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে জার্নালিজম, কমিউনিকেশন এন্ড মিডিয়া স্টাডিস ডিপার্টমেন্টে ভর্তির জন্য পরীক্ষা দিয়েছিলাম। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে গিয়ে আমার প্রচুর অভিজ্ঞতা হয়েছে। এ অর্জনের মাধ্যমে আমার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ও লেখাপড়ার ইচ্ছা পূরণ হলো।

এ নিয়ে তিনি তার ফেসবুক প্রোফাইলে লিখেছেন, “আলহামদুলিল্লাহ রাজশাহী বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা বিভাগে ভর্তি পরীক্ষায় পাশ করেছি। মায়ের অনুমতি পেলেই ভর্তি হব ইনশাল্লাহ।”

গাজীপুর জেলার শ্রীপুর পৌরসভার কেওয়া পশ্চিমখণ্ড গ্রামের মৃত হাসেন আলী শেখ ও জয়গন বিবির চার সন্তানের মধ্যে দ্বিতীয় পুত্র বেলায়েত শেখ। ১৯৬৮ সালে জন্ম নেওয়া বেলায়েতের ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনার প্রতি ছিল আগ্রহ। প্রবল আগ্রহ থাকলেও দারিদ্রের কারণে তখন তা হয়ে ওঠেনি। এত বিপত্তির মাঝে ১৯৮৩ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষা (এসএসসি) যেই না মাত্র বসতে যাবেন তখনই অসুস্থ হয়ে পড়েন তার বাবা হাসেন আলী শেখ। আর এতে পরীক্ষার জন্য ফর্ম পূরণের পুরো টাকা ব্যয় হয় বাবার চিকিৎসার পেছনে।

পরবর্তীতে ১৯৮৫ সালে বন্যা আর ১৯৯১-৯২ সালে মায়ের অসুস্থতার আর লেখাপড়া করা হয়নি তার। মা ভক্ত বেলায়েত মনে করেন, দুনিয়াতে মা বেঁচে না থাকলে এই লেখাপড়া দিয়ে কি হবে। তাই নিজের পড়াশোনার কথা না ভেবে লেগে পড়েন মাতৃসেবায়। কাঁধে নেন পুরো সংসারের দায়িত্ব। এসএসসি দিতে না পারায় মেকানিক্যাল কোর্স করে মোটর গাড়ির ওয়ার্কশপ কাজ শুরু করেন একসময়। আর তা দিয়েই চলতো তার সংসার।

Back to top button

Opps, You are using ads blocker!

প্রিয় পাঠক, আপনি অ্যাড ব্লকার ব্যবহার করছেন, যার ফলে আমরা রেভেনিউ হারাচ্ছি, দয়া করে অ্যাড ব্লকারটি বন্ধ করুন।