সম্প্রতি, চট্টগ্রামের বিল পরিশোধে বিলম্ব হওয়ায় এক বেসরকারি ক্লিনিকের বিরুদ্ধে জমজ দুই নবজাতক হ’ত্যার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে ইতোমধ্যে পুলিশ ক্লিনিকটির ৪ জনকে থানায় নিয়ে যায় এবং ক্লিনিকটি বন্ধ করে দেয়।
মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম শহরের ডবলমুরিং থানার ঝর্ণাপাড়া এলাকায় ‘মাতৃসেবা নরমাল ডেলিভারি সেন্টার’ নামক ক্লিনিকে এমন নির্মম ঘটনা ঘটে। জানা যায়, মো. মনির ও তার স্ত্রী লাভলীর কোলজুড়ে আসে নিহত দুই জমজ নবজাতক। মনির পেশায় একজন টেম্পু চালক এবং লাভলী গৃহনী।
মনিরের ভাষ্যমতে, মঙ্গলবার দুপুর ২ টায় এই ক্লিনিকে তার স্ত্রীকে ভর্তি করান এবং এর আধঘণ্টা পর জন্ম নেয় জমজ দুইটি শিশু। ওই ক্লিনিক হতে শিশুদের চট্টগ্রাম মেডিকেলে ভর্তির পরামর্শ দেওয়া হয় এবং তখন ক্লিনিক হতে মনিরকে ১০ হাজার টাকা বিল দেওয়া হয়। মনির তখন ৫ হাজার টাকা দিয়ে বলে, বাচ্চা তো নরমাল ডেলিভারি হয়েছে। ১০ হাজার কেন দিতে হবে? আপাতত ৫ হাজার রাখেন। বাচ্চার চিকিৎসা শেষে বাকি টাকা দেবো। কিন্তু, এমন যুক্তিতে রাজি হয় না ক্লিনিক কতৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: ১৫ দিন ধরে নিখোঁজ কুমিল্লার সাত কলেজ শিক্ষার্থী!
ফলে তারা বাচ্চাগুলোকে অক্সিজেনও দেয় না, অন্যদিকে অন্য হাসপাতালেও নিতে দেয় না। আর অক্সিজেন না পেয়ে শিশু দুইটি মারা যায়।
এর তিনঘণ্টা পর মনির প্রতিবেশিসহ গেলে, ক্লিনিক হতে মৃ’ত বাচ্চা বুঝিয়ে দেয়। আর এতে মনিরের এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। পরবর্তীতে পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
এই বিষয়ে ডবলমুরিং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাখাওয়াৎ হোসেন জানান, “দুই নবজাত শিশুর মৃ’ত্যুর খবর পেয়ে পুলিশের টিম ওই ক্লিনিকে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ক্লিনিকের চারজন নার্স ও কর্মচারীকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।” আরও বলেন, ‘অভিযোগ পেলে আইনানুগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশ আপাতত ওই ক্লিনিকে তালা লাগিয়ে দিয়েছে।’