বুধবার রাতে সবচেয়ে কাছাকাছি থাকবে পৃথিবী ও চাঁদ!

আগামীকাল অর্থাৎ বুধবার রাতে পৃথিবীর আকাশে দেখা মিলবে চলতি বছরের সবচেয়ে বড়ো সুপার মুনের। পৃথিবীর সবচেয়ে কাছাকাছি অবস্থান করবে চাঁদ নামক উপগ্রহটি। এই সুপারমুনের রাতে চাঁদকে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে অধিক বড়ো, উজ্জ্বল ও গোলাপি আভা ছড়াতে দেখা যাবে।
সম্প্রতি জানা যায়, ১৩ জুলাই রাতে পৃথিবীর আকাশে দৃশ্যমান সুপার মুনের দূরত্ব হবে পৃথিবী থেকে মাত্র ৩ লাখ ৫৭ হাজার ২৬৪ কি.মি.। আর পৃথিবী ও চাঁদের কাছাকাছি অবস্থানের ফলে সমুদ্র ও নদীতে জোয়ার-ভাটার প্রভাব দেখা যাবে। যেখানে, পৃথিবীর সমুদ্রে জোয়ারের প্রভাবই থাকবে বেশি।
#আরও পড়ুন: প্রতি সেকেন্ডে পৃথিবীর সমান ভর গিলা ব্ল্যাকহোল এর গল্প!
১৩ জুলাই বুধবার রাতে দেখা সুপার মুন হবে ২০২২ সালে দেখা সবচেয়ে বড়ো সুপারমুন। এই সুপারমুনকে বাক মুনও বলা হয়ে থাক। ইংরেজিতে বাক অর্থ পুরুষ হরিণ। এর নাম বাক মুন বলার অন্যতম কারণ হলো—অনেক পশ্চিমাদেশে এই সময়টাতে হরিণদের শিং বড়ো হতে শুরু করে এবং হরিণ চাঁদ, থান্ডার মুন, হে মুন ও উইর্ট মুন ইত্যাদি নামেও পরিচিত এই সুপার মুন। অন্যদিকে আমেরিকায় বিভিন্ন স্থানে এই চাঁদকে বলা হয় সলমন মুন, রাস্পবেরি মুন ও ক্যালমিং মুন।
বলা হয়, ১৩ জুলাই অর্থাৎ বুধবার মধ্যরাতে এই সুপারমুনের দেখা মিলবে। গবেষকদের মতে, এটি ১২টা ৮ মিনিটে দেখা যাবে এবং পরবর্তীতে আবার ২০২৩ সালের ৩ জুলাই এই সুপার মুন বা বাক মুনের দেখা মিলবে।
পৃথিবীর উপগ্রহ চাঁদ যখন পৃথিবীর কাছাকাছি অবস্থান নেয়, তখন এই চাঁদকে পৃথিবী থেকে স্বাভাবিকের অনেকটাই বড়ো ও উজ্জ্বল দেখায়। এই পূর্ণ ও গোলাকার চাঁদের এমন অবস্থানকেই মূলত সুপার মুন বলা হয়ে থাকে। তবে সুপার মুন শব্দটার উৎপত্তির সম্পর্ক আধুনিক জ্যোতিশাস্ত্র বা জ্যোতির্বিদ্যাতে নেই।
#আরও পড়ুন: হৃদরোগ প্রতিকারে গবেষকরা দেখালো আশার আলো!
সর্বপ্রথম ১৯৭৯ সালে রিচার্ড নোল্লে এই ‘সুপার মুন‘ শব্দের উল্লেখ ঘটান। তারপর আমেরিকার নাসা সংস্থা এই সুপার মুন শব্দটিকে গ্রহণ করেন। এরই প্রেক্ষিতে ১৯৭৯ সালের পর থেকেই এই শব্দটি বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। আর এই শব্দ শুনলেই মনে হয়—পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে আসবে উপগ্রহ চাঁদটি।