ভালোবেসে পরিচ্ছন্নতা কর্মীকে বিয়ে করলেন নারী চিকিৎসক!
এমবিবিএস পাস করার পর পেশাগত দায়িত্বপালনে একটি হাসপাতালে যুক্ত হয়েছিলেন এক নারী চিকিৎসক। পরে তিনি ভালোবেসে বিয়ে করেছেন একই হাসপাতালের এক পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে।
ভালোবেসে বিশ্বের যেকোনো কিছু জয় করা সম্ভব। তেমনি অনেক পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও প্রেম যে দুজন মানুষকে একত্রিত করতে পারে, তা প্রমাণ করেছেন এই দম্পতি।
ব্যতিক্রমী ঘটনাটি ঘটেছে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে। ব্যতিক্রমী এই পাকিস্তানি এই দম্পতির অনন্য প্রেমের গল্প ইতোমধ্যেই ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়েছে।
ওই নারী চিকিৎসকের নাম কিশওয়ার সাহিবা। তার স্বামী ওই হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতাকর্মী শাহজাদ। তারা পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের ওকারা জেলার দিপালপুর শহরের বাস করেন।
আরও পড়ুন# রানির ব্যবহৃত সামান্য একটি টি-ব্যাগের দাম ১২ লক্ষ টাকা!
মূলত কিশওয়ারই শাহজাদকে বিয়ের জন্যে প্রস্তাব দেন এবং বিয়ের পর একটি ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে তাদের অনন্য প্রেমের গল্প ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়। ‘মেরা পাকিস্তান’ নামে একটি ইউটিউব চ্যানেলে পাকিস্তানি এই দম্পতি তাদের প্রেমের গল্প সবার কাছে খুলে বলেছেন। তাদের ভালোবাসার গল্প শুনে আনন্দে ভাসছেন অনলাইন ব্যবহারকারীরা।
নিজেদের গল্প বলার সময় স্বামী শাহজাদ স্পষ্ট ভাষায় জানান, এমনটা যে হতে পারে, তিনি ভাবতেই পারেননি! ভালোবাসার প্রথম প্রস্তাবটা দিয়েছিলেন কিশওয়ারই। যখন হাসপাতালে পরিচ্ছন্নতার কাজ করতে এসেছিলেন শাহজাদ, তখন তার মোবাইল নম্বরটা চেয়ে নেন কিশওয়ার।
এরপর হোয়াটসঅ্যাপে দুজনের কথাবার্তা চলতে থাকে। একদিন শাহজাদ একটি ‘স্ট্যাটাস মেসেজ’ দিয়েছিলেন হোয়াটসঅ্যাপে। সেই দেখে এক মুহূর্তেই সিদ্ধান্তটা নিয়ে ফেলেন কিশওয়ার। শাহজাদকে নিজের কর্মস্থল হাসপাতালে ডেকে পাঠান তিনি। তারপর সোজাসুজি জানিয়ে দেন প্রেমের কথা।
কেন শাহজাদকে ভালো লেগেছিল কিশওয়ারের? উত্তরে কিশওয়ার নিজেই জানিয়েছেন, এক বারের জন্যও শাহজাদকে দেখে তার পরিচ্ছন্নতাকর্মী মনে হয়নি। সাদাসিধে মানুষটাকেই ভালো লেগে গিয়েছিল চিকিৎসক কিশওয়ারের।
অন্যদিকে শাহজাদ জানান, তিনি তিনজন চিকিৎসকের অফিস কক্ষ পরিষ্কার করতেন এবং চা-নাস্তা পরিবেশন করতেন। একদিন কিশওয়ার তার ফোন নম্বর চেয়ে নেন, আর এর পরে তারা একে অপরের সাথে কথা বলতে শুরু করেন। আর ধীরে ধীরে তাদের সম্পর্কটি ভালোবাসায় রূপ নেয়!
সূত্র: এনডিটিভি।