
গত শনিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন স্থানে মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। উত্তরবঙ্গের গাইবান্ধা, রংপুর, নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রামসহ আশেপাশের জেলাগুলোতে এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ভূমিকম্পটির মাত্রা রিখটার স্কেল অনুযায়ী ছিল ৪ দশমিক ৭। গাইবান্ধায় এর উৎপত্তি হয়েছিলো বলে জানা যায়। তবে তাৎক্ষণিকভাবে এই ভূমিকম্পের ফলে ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
ভারী বৃষ্টির ফলে এমনিতেই ধ্বসের আশঙ্কা রয়েছে। ভূমিকম্প সেই আশঙ্কা আরো বাড়িয়ে দিলো উত্তরবঙ্গে। উত্তরবঙ্গের অনেক মানুষ সংবাদমাধ্যমকে জানান, ভূমিকম্প যে হচ্ছে তা বোঝার আগেই ভূমিকম্প থেমে যায়। তবে এই কম্পনে অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে যান। অনেকেই বৃষ্টির মধ্যেই বাড়ির বাইরে চলে আসেন। তবে কম্পন ক্ষণস্থায়ী হওয়ায় ফের বাড়িতে ফেরেন সবাই।
জানা গিয়েছে, ভূমিকম্পের উৎসস্থল নেপালের ভোজপুর থেকে ১৭ মাইল পশ্চিমে। সেন্টার ফর সিসমোলজির জানায়, নেপালের কাঠমান্ডু থেকে ১৪৭ কিমি দূরে ১০ কিমি গভীরে ছিল ভূমিকম্পের কেন্দ্র। এর কম্পন অনুভূত হয় শিলিগুড়ি সহ দার্জিলিং, কালিম্পং, কার্শিয়াঙে। প্রসঙ্গত, উত্তরবঙ্গে এক নাগাড়ে বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। অবশ্য বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা শুক্রবারে কিছুটা কম ছিল। তবে অবিরত বৃষ্টিতে উত্তরবঙ্গে নদীস্তর বৃদ্ধির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি ধসের আশঙ্কাও করা হচ্ছে। এরই মাঝে ভূমিকম্পের কারণে চিন্তা বাড়ছে উত্তরবঙ্গবাসীর।
অন্যদিকে, ভোররাতে ভূমিকম্প হয়েছে শিলিগুড়িতে। এর উৎসস্থল ছিলো নেপাল। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের তীব্রতা দেখা যায় ৫.৩। উত্তরবঙ্গের পাহাড়সহ সিকিমেও অনুভূত হয়েছে সেই ভূমিকম্পের কম্পন। শনিবার রাত ৩-৪ টার দিকে অনুভূত হয় উত্তরবঙ্গের একাধিক জায়গায়।
ভূমিকম্প হওয়ায় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। রাত ১১টা ৫৯ মিনিটে মৃদু কম্পন অনুভূত হয় দার্জিলিং, কালিম্পং, কার্শিয়াং, শিলিগুড়ি, আলিপুরদুয়ারসহ বিস্তীর্ণ অঞ্চলে। যদিও কম্পনের উৎসস্থল ছিল ভুটান।
আরও পড়ুন: বড়পুকুরিয়া খনির ৫২ শ্রমিক করোনা আক্রান্ত, কয়লা উত্তোলন সাময়কিভাবে বন্ধ!