
মানিকগঞ্জে পাসপোর্ট করতে আসা এক রোহিঙ্গা নারীকে আটক করা হয়েছে। পরে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। আজ রবিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকালে মানিকগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস থেকে তাদের আটক করা হয়েছে। আটককৃত নারীর নাম হুমায়রা। তার বাবার নাম হামিদুল্লাহ।
আটকের সময় ওই নারীর সাথে থাকা আবু তাহের (২২) নামের এক দালালকেও আটক করা হয়। তিনি কক্সবাজারের বাসিন্দা। তার বাড়ি কক্সবাজারের চকরিয়ার গোয়াইলমারা গ্রামে। তার বাবার নাম মো. ইলিয়াস।
মানিকগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নাহিদ নেওয়াজ বলেন, জেলার সিঙ্গাইর উপজেলার চান্দহর ইউনিয়নের চর চান্দহর গ্রামের বাসিন্দা পরিচয় দিয়ে পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেন এক নারী।
আবেদনে তার নাম দেয়া হয় তাসনিম বেগম, বাবার নাম মো. খলিলুর রহমান। তিনি জন্ম সনদ, বাবার জাতীয় পরিচয়পত্র ও চান্দহর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের সনদপত্র দেন।
কিন্তু তার কথাবার্তায় সন্দেহ হলে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। একপর্যায়ে তার আঙ্গুলের ছাপ পরীক্ষা করে দেখা যায়, তিনি রোহিঙ্গা হিসেবে নিবন্ধিত। তার আসল নাম হুমায়রা, বাবার নাম হামিদুল্লাহ ও রোহিঙ্গা আইডি নম্বর ১৫৫২০১৭১২২৪১১৫৪৫৯।
আরও পড়ুন# ধ’র্ষণ মামলায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে সাক্ষী দিলেন ২ পুলিশ কর্মকর্তা!
তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই নারী স্বীকার করেন যে, তিনি কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে থাকেন। পরে ওই নারীকে মানিকগঞ্জ সদর থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
জানা যায়, আবু তাহেরের সহযোগিতায় সিঙ্গাইর এলাকার এরশাদ নামের এক দালালের মাধ্যমে ১ লাখ টাকা চুক্তিতে পাসপোর্ট করতে আসেন ওই নারী। এজন্য এরশাদকে অগ্রিম ৬০ হাজার টাকাও পরিশোধ করেছেন। তবে পাসপোর্ট কর্মকর্তাদের হাতে ওই নারী আটক হওয়ার পর পালিয়ে যান দালাল এরশাদ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পাসপোর্টের আবেদনে ওই নারী সিঙ্গাইরের চান্দহর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত হোসেন বাদল স্বাক্ষরিত একটি সনদ ও সিরাজগঞ্জের শাহাজাদপুর উপজেলার সোনাতনী ইউনিয়ন পরিষদ থেকে করা জন্ম সনদ জমা দেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চান্দহর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত হোসেন বাদল বলেন, এটা একটা জাল সনদ। ওই সনদে যে স্বাক্ষর রয়েছে সেটা আমার না। যে তারিখ দেয়া আছে ওই তারিখে আমি কোনো সনদ দেই নাই।
মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ সরকার বলেন, অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে দুইজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।