
হার্দিক পান্ডিয়া, ভারতীয় জাতীয় দলের ক্রিকেটার। ক্রিকেট বিশ্বের পরিচিত এক মুখ। সফল ক্রিকেটার বলতে যা বুঝায়, সবকিছুই আছে হার্দিকের মাঝে। লক্ষ তরুণের আদর্শ এই ক্রিকেটার। গুজরাট থেকে উঠে আসা হার্দিকের ক্রিকেটার হওয়া, জাতীয় দল পর্যন্ত আসার গল্পটা অবশ্য সহজ ছিল না।
ক্রিকেটার না হলে, হয়তো এখন বড়জোর গুজরাটের কোনো এক পেট্রোল পাম্পের কর্মচারী থাকতেন- নিজের ব্যাপারে মাস কয়েক আগে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটিই জানিয়েছেন ভারতীয় এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার। ঠিক এই জায়গাটাতেই বাংলাদেশের মারুফার সঙ্গে মিল আছে হার্দিকের।
মারুফা, বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলে সদ্য যুক্ত হওয়া খেলোয়াড়। ২০২৩ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কোয়ালিফাই খেলতে নতুন দল ঘোষণা করেছে বিসিবি, সেখানেই প্রথমবারের মতো জাতীয় দলে যোগ দেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন মারুফা।
আরও পড়ুন: আরব আমিরাতের উদ্দেশ্যে আজ দেশ ছাড়বে বাংলাদেশের মেয়েরা!
জাতীয় দলে আসার পথটা কোনো ক্রিকেটারের জন্যই তেমন সহজ না, তবে মারুফার জন্য বেশিই কঠিন ছিল এই পথ। রীতিমতো সাঁতরে সাগর পাড়ি দেওয়ার মতোই। পরিবারের চরম আর্থিক দুরবস্থার কারণে বাবার সঙ্গে জমিতে চাষের কাজ করেছেন মারুফা। আর ক্রিকেট অনুশীলন করেছেন পরিত্যাক্ত রেললাইনের পাশে।
শুরুতে পরিবারের কাছ থেকেও তেমন সহযোগিতা পেয়েছেন বলা যাবে না। বাবা আইমুল্লাহ সরাসরিই বলে দিয়েছিলেন, ‘আমি টাকা দিতে পারব না, তুই একা কী করবি, কর!’
তবুও তার স্বপ্ন ছিল লাল-সবুজের জার্সি গায়ে জড়ানো। এই স্বপ্ন সত্যি করার পথে সর্বশেষ ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) ১১ ম্যাচে ২৩ উইকেট শিকার করেন তিনি। যেখানে এক ম্যাচেই ৭ উইকেট তুলে নেন। সেরা উদীয়মান খেলোয়াড়ের পুরস্কারও জিতে নেন সেই টুর্নামেন্টে।
বাবা টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানানোর চার বছর পর আজ জাতীয় দলের হয়ে ডাক পেয়েছেন মারুফা। সংবাদ সম্মেলনে জানান তার আদর্শ ক্রিকেটার হার্দিক পান্ডিয়া। কারণ তাদের দুজনের সংগ্রামের গল্পই যে একই রকম!