আন্তর্জাতিকসন্দেশ

মাসা আমিনির মৃ’ত্যু, হিজাব পুড়িয়ে প্রতিবাদ করছেন ইরানি নারীরা!

নৈতিক পুলিশের নির্যাতনে প্রাণ গেছে মাসা আমিনির এ খবর পুরোনো হয়েছে আগেই। তবে নতুন করে তার মৃ’ত্যু আলোচনার জন্ম দিয়েছে ভিন্নভাবে। পুলিশি নির্যাতনে আমিনির মৃ’ত্যুর পর দেশটিতে শুরু হওয়া বিক্ষোভে বিভিন্ন শহরে ছড়িয়ে পড়ছে। এতে অংশ নেওয়া নারীরা হিজাব পুড়িয়ে দিয়ে তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। কেউ কেউ লাইভে এসে চুল কেটে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।

দেশটিতে গত পাঁচদিন ধরে লাগাতার বিক্ষোভ চলছে। এতে মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) তেহরানের উত্তরের শহর সারিতে শত শত নারী রাস্তায় বের হয়ে বিক্ষোভে অংশ নিয়ে হিজাবে আগুন ধরিয়ে দেন। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম আল আরাবিয়া।

সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, তেহরানে নারীরা তাদের মাথার হিজাব খুলে ফেলে দিয়ে ‘স্বৈরাচারীর পতন চাই” বলে শ্লোগান দিচ্ছেন।

সেখানে আরও শ্লোগান দেওয়া হয়, “বিচার চাই, স্বাধীনতা চাই, হিজাব পরা বাধ্যতামূলক চলবে না।”

ইরানে জনপরিসরে নারীদের বাধ্যতামূলক হিজাব পরাসহ কঠোর পর্দাবিধি প্রচলিত রয়েছে। এই বিধিগুলো কার্যকর হচ্ছে কি-না, তা তদারকি করে দেশটির নৈতিকতা বিষয়ক পুলিশ। এই বিধির আওতায় নৈতিকতা বিষয়ক পুলিশ দল গত মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) মাসা আমিনিকে (২২) তেহরান থেকে আটক করে। আমিনি তার পরিবারের সঙ্গে তেহরান সফরে যাচ্ছিলেন।

আরও পড়ুন# জনগণের টাকায় শিনজো আবের শেষকৃত্য, প্রতিবাদে গায়ে আগুন দিলো যুবক!

আটকের পর নির্যাতনের এক পর্যায়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে তেহরানের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মাসা আমিনির মৃ’ত্যু হয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য, পুলিশ ভ্যানে তোলার পর আমিনিকে মারধর করা হয়। তবে ইরানি পুলিশ এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

নারীদের পোশাক নিয়ে ইরানের কট্টরপন্থী প্রেসিডেন্ট এব্রাহিম রাইসির কড়াকড়ি আরোপের ঘোষণার কয়েক সপ্তাহের মাথায়ই এ ঘটনা ঘটলো। উল্লেখ্য, ইসলামি বিপ্লবের পর ১৯৭৯ সাল থেকে ইরানে নারীদের বাধ্যতামূলক হিজাব পরতে হয়।

সোমবার দেশটির একজন পুলিশ কর্মকর্তা জেনারেল হোসেন রহিমি বলেছেন, “যে তরুণীর মৃত্যু হয়েছে তিনি পোশাকবিধি লঙ্ঘন করেছিলেন। আমাদের পুলিশ তার সঙ্গে থাকা লোকজনকে ‘শালীন পোশাক’ আনতে বলেছিল।”

ভুক্তভোগীর বাবা আমজাদ আমিনি সোমবার ফার্সকে বলেছেন, পুলিশ যা বলছে তা আমি বিশ্বাস করি না। এছাড়া আমার মেয়েকে দেরিতে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। আমার মেয়ে স্বাভাবিক সুস্থ ছিল। তার কোনো শারীরিক সমস্যা ছিল না।

Back to top button

Opps, You are using ads blocker!

প্রিয় পাঠক, আপনি অ্যাড ব্লকার ব্যবহার করছেন, যার ফলে আমরা রেভেনিউ হারাচ্ছি, দয়া করে অ্যাড ব্লকারটি বন্ধ করুন।