
নারায়ণগঞ্জ রুটে ইদানীং দেখা যাচ্ছে যাত্রী সংকটে পড়ছে লঞ্চ মালিক-শ্রমিকরা। তাদের কপালে চিন্তার ভাজ। প্রতিদিনই হাতে গোনা যাত্রী হচ্ছে, যা লঞ্চের ধারণ ক্ষমতার অর্ধেক যাত্রীও নেই লঞ্চে। ফলে, মালিকরা বলছেন এমন অবস্থা চলতে থাকলে লঞ্চ কেটে স্ক্র্যাপ আকারে বিক্রি করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।
এই বিষয়ে লঞ্চ চালকদের একজন মো. মিনহাজ মিয়া বলেন— বর্তমানে যাত্রী সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। এখন লঞ্চের ধারণক্ষমতার অর্ধেক যাত্রীও পারাপার করতে পারি না। অনেক সময় এক-তৃতীয়াংশ যাত্রীও হয় না। এ অবস্থায় আমাদের জীবন জীবিকা নিয়েই শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে এই রুটে পাঁচ টাকা ভাড়া বাড়িয়ে ডেকে ৩৫ ও চেয়ারে ৫০ টাকা আদায় করা হচ্ছে। এর ফলেও বেড়েছে যাত্রী সংকট। আর এভাবে চলতে থাকলে লঞ্চ মালিকেরা লঞ্চ কেটে বিক্রি করে দেবে। ফলে তার মতো লঞ্চ শ্রমিকরা পড়বে বেকায়দায়।
অন্যদিকে, লঞ্চ মালিকরা বলছেন— লঞ্চ ঘাটে মালামাল বাবদ অতিরিক্ত টাকা আদায়, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার ফলে ভাড়া বৃদ্ধিসহ নানা কারণে যাত্রী সংকট তৈরি হয়েছে। তাছাড়া যাত্রী সংকটের ফলে ২০টি লঞ্চ কেটে (স্ক্র্যাপ হিসেবে) বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে অচিরেই লঞ্চ ব্যবসা গুটিয়ে নেওয়া ছাড়া কোনও পথ খোলা থাকবে না।
তবে যাত্রীরা বলছেন, লঞ্চের সংখ্যা কমে যাওয়ায় দীর্ঘ সময় লঞ্চ ঘাটে বসে থাকতে হয়। অথচ আগে ২০ মিনিট পরপর মুন্সীগঞ্জসহ বিভিন্ন রুটের লঞ্চ চলাচল করতো। কিন্তু এখন লঞ্চের সংখ্যা কমে যাওয়ায় অনেক দেরি হয়। এ কারণে সড়কপথে যাতায়াত করতে হচ্ছে। তাছাড়া লঞ্চ ঘাটে প্রবেশ ফি ১০ টাকার পাশাপাশি মালামালের জন্য বাড়তি টাকা দিতে হয়। সড়কপথে এই বাড়তি টাকা খরচ করতে হয় না। এ কারণে নৌরুট বদলে সড়কপথ বেছে নিয়েছেন যাত্রীরা।