যে নিয়ম মানলে, স্ত্রীর সাথে ঝগড়া হবে না!

প্রতিটি সম্পর্কে চড়াই-উতরাই থাকবে এটাই স্বাভাবিক। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কও তার ব্যতিক্রম নয়। কম বেশি সব স্বামী-স্ত্রীর মধ্যেই ঝগড়া হয়। আবার, ঝগড়া বা মনোমালিন্য সহজে মিটেও যায়। তবে, কারও কারও ক্ষেত্রে ঝগড়া যেন সহজে মেটে না, সামান্য একটা ভুলে বিচ্ছেদ ঘটে। আজকে আমরা জানব, একজন স্বামী কী কী বিষয় মেনে চললে স্ত্রীর সাথে ঝগড়া হবে না তা সম্পর্কে।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়, স্বামী-স্ত্রী দুইজন একসাথেই রাগ করে, একে অপরের ওপর চিল্লাচ্ছে। কিন্তু, দুইজন একসাথে কখনোই রেগে যাওয়া উচিত নয়। আপনার স্ত্রী রেগে গেলে আপনি শান্ত থাকুন, তাকে রাগ উগলে দিতে দিন। এরপর পরিস্থিতি শান্ত হলে, তার সাথে আলাপ করুন। তার ভুলগুলো ধরিয়ে দিন এবং নিজের ভুলের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করুন।
বেশির ভাগ স্বামীই তার স্ত্রীর বন্ধু হতে পারে না। ফলে, দুইজনের মধ্যে বোঝাপড়ার অমিল হয়। এইজন্য আপনার স্ত্রীর বন্ধু হয়ে ওঠুন। তার কাছে এমন পরিবেশ সৃষ্টি করুন, যাতে আপনার স্ত্রী আপনাকে সবকিছুতে ভরসা করে।
আরও পড়ুন# পুত্রবধূর সাথে সম্পর্ক ভালো রাখার জাদুকরী উপায়!
সংসার দুইজনের হলেও বেশিরভাগ স্বামী তার স্ত্রীর পরামর্শ নেয় না বা গ্রহণ করে না। সংসারের প্রতিটি বিষয়ে দুইজনে আলাপ-আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিন। এমনকি প্রতিদিন আপনি একা বাজার না করে স্ত্রীকেও সাথে নিন এবং ঘরের কাজ দুইজনে মিলেমিশে করুন।
নারীরা চায় তাদের স্বামীরা বিশেষ দিনগুলো মনে রাখুক, তাকে সারপ্রাইজ দিক। আপনার সাধ্যমতো স্ত্রীকে সারপ্রাইজ দিন, বিশেষ দিনগুলোতে আয়োজন করুন।
আপনার কোনো ভুল থাকলে, তা স্ত্রী হতে গোপন না করে তাকে জানান। কারণ ভুলত্রুটি মিলেই মানুষ। আপনি ভুল লুকিয়ে রাখলে, পরে তা প্রকাশ পেলে। সম্পর্কে ফাটল ধরতে পারে। তেমনি স্ত্রীর কোনো ভুল হলে তার সাথে রাগারাগি না করে তাকে বুঝিয়ে বলে দিন। তাকে অনুতপ্ত বোধ করার সুযোগ দিন।
বিয়ের আগে নারী-পুরুষ অনেক বন্ধু আপনার থাকতে পারে। তবে, বিয়ের পর বন্ধুদের সাথে দূরত্ব রেখে সম্পর্ক বজায় রাখুন। বিশেষ করে মেয়ে বন্ধুদের ক্ষেত্রে।
প্রিয় পাঠক, ওপরের এসব বিষয় মেনে চললে আপনার স্ত্রীর সাথে ঝগড়াঝাটি হবে না! আর্টিকেলটি ভালো লাগলে অন্যদের সাথে শেয়ার করুন! এ ধরনের আরও আর্টিকেল পেতে অনুলিপিতে চোখ রাখুন!