স্বামী সোহানের যৌতুকের দাবিতে নির্যাতিত হয়ে প্রাণ গেছে গৃহবধু ফাতেমার। ঘটনাটি ঘটেছে যশোরের মণিরামপুর উপজেলায়।
দুই মাস আগে বিয়ে হয়েছিল ফাতেমা ও সোহানের। বিয়ের পর থেকে ব্যবসার জন্য তিন লাখ টাকা দাবি করেন সোহান। টাকা আনতে স্ত্রীকে বাপের বাড়িতেও পাঠিয়ে দেন তিনি। গত শনিবার শ্বশুরবাড়ি থেকে এক লাখ টাকাসহ স্ত্রীকে বাড়িতে নিয়ে আসেন সোহান। তবুও মন ভরেনি তার। বাকি দুই লাখ টাকার জন্য তাদের মধ্যে আবারও বাগবিতণ্ডা ও তর্কাতর্কি হয়। একপর্যায়ে রবিববার রাত ৩টার দিকে ফাতেমাকে মৃত অবস্থায় মণিরামপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ফেলে পালিয়ে যান সোহান ও তার পরিবারের লোকজন। পরে মোবাইলে তারা ফাতেমার বাবাকে জানান, তিনি আত্মহত্যা করেছেন। ভোরে হাসপাতালে এসে মেয়ের মরদেহ দেখতে পান ফাতেমার বাবা ও স্বজনরা।
সোমবার সকালে মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে লাশ ফাতেমার উদ্ধার করেছে পুলিশ। সেই সঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফাতেমার স্বামী সোহান হোসেনকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ফাতেমা খাতুন যশোরের অভয়নগর উপজেলার জিয়াডাঙ্গা গ্রামের ইয়াসিন আলীর মেয়ে। সোহান মণিরামপুর উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে।
আরও পড়ুন# কারাগারে নিরাপত্তা চাইলেন স্ত্রী-হত্যায় অভিযুক্ত এসপি বাবুল!
ফাতেমার স্বজনরা জানান, দুই মাস দুই দিন আগে পারিবারিকভাবে ফাতেমা ও সোহানের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে ব্যবসার জন্য তিন লাখ টাকা দাবি করেন সোহান। টাকা আনতে তাকে বাপের বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। সর্বশেষ গত শনিবার শ্বশুরবাড়ি থেকে এক লাখ টাকাসহ স্ত্রীকে বাড়িতে নিয়ে আসেন সোহান।
ফাতেমার বাবা ইয়াসিন আলী বলেন, যৌতুকের জন্য আমার মেয়েকে নির্যাতন করে হত্যা করে হাসপাতালে ফেলে গেছে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। আমার মেয়ের শরীরে আঘাতের অনেকগুলো চিহ্ন আছে। আমি মেয়ে হত্যার বিচার চাই।
মণিরামপুর থানার ওসি নূর ই আলম সিদ্দিকী জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফাতেমার স্বামী সোহান হোসেনকে হেফাজতে নেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা করা হবে।