
বাংলাদেশ রেলওয়ের অব্যবস্থাপনা ও যাত্রী হয়রানির প্রতিবাদে রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে ৬ দফা দাবিতে টানা দশ দিন ধরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনি।
সিন্ডিকেট বন্ধ, অনলাইন ভোগান্তি হ্রাস ও যাত্রী নিরাপত্তার কথা উল্লেখ করে মহিউদ্দিন রনি বলেন, প্রতিবারই বিশেষ করে ঈদের সময় রেলের অনলাইন টিকিট ক্রয় করতে গিয়ে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন অনেকেই। তাদের মধ্যে আমিও একজন। প্রধানমন্ত্রী পদ্মাসেতু করে দিয়ে দক্ষিণবঙ্গের মানুষের ভোগান্তি কমিয়েছেন। নিশ্চয় উত্তরবঙ্গের মানুষের দিকেও দৃষ্টিপাত করবেন তিনি। উত্তরবঙ্গের মানুষের ভোগান্তি কমাতে হলে অবিলম্বে ট্রেনের সংখ্যা ও আসন বাড়াতে হবে।
গত বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) প্লাকার্ড, শিকল ও হাতকড়া নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করে রনি। পরে তার সঙ্গে যুক্ত হন ঢাবির আরও দু’জন শিক্ষার্থী জয়া আহসান এবং আইভী আক্তার। এছাড়াও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কাজী আশিকুর রহমান ও মোহাম্মদ মাহিন রুবেল, গভমেন্ট কলেজ অব অ্যাপ্লাইড হোম ইকোনমিক্সের ফারহানা রাহাসহ আরও কয়েকজন শিক্ষার্থী যোগ দেন এই আন্দোলনে।

তাদের ৬ দফা দাবি হলো:
১. টিকিট ক্রয়ের ক্ষেত্রে সহজ ডট কম কর্তৃক যাত্রী হয়রানি অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে অথবা সহজের সাথে চুক্তি বাতল করতে হবে।
২. টিকিট কালোবাজারি প্রতিরোধ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
৩. টিকিট কেনার ক্ষেত্রে সর্বসাধারণের সমান সুযোগ-সুবিধার দিকে নজর দিতে হবে।
৪. ট্রেনর জনসাধারণের জানমালের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
৫. ন্যায্য দামে ট্রেনে খাবার বিক্রি করতে হবে। বিনামূল্যে বিশুদ্ধ পানি ও স্বাস্থ্য সম্মত স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
৬. ট্রেনের আসন অথবা ট্রেনের সংখ্যা বাড়াতে হবে। এবং সেবার মান ও তথ্যের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে শক্তিশালী মনিটরিং টিম তৈরি করতে হবে।
আরও পড়ুন# বিশ্ব গণিত আসরে ব্রোঞ্জপদক পেল বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা!