
সেমিফাইনালে ভূটানের বিপক্ষে ৮-০ গোলে জিতেছে বাংলাদেশ। সেই গোল উৎসবের সূচনা করেছিলেন বাংলাদেশ দলের ফরোয়ার্ড সিরাত জাহান স্বপ্না। কিন্তু পায়ে ব্যাথা পেয়ে ১২ মিনিটের মাথাতেই মাঠ ছাড়তে হয়েছিল চার ম্যাচে চার গোল করা অভিজ্ঞ এই খেলোয়াড়কে। বারবার প্রতিপক্ষের রক্ষণদুর্গ ভেঙে দেয়া স্বপ্না কি খেলতে পারবেন ফাইনালে?
শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) নেপালের কাঠমান্ডু থেকে নারী ফুটবল দলের কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন জানিয়েছেন, ‘ম্যাচের সময় ডান পায়ের মাংসপেশীতে টান পড়েছিল তার। গত দুইদিনে যে অবস্থা ছিল তার চেয়ে আজকে কিছুটা ভালো।’
ফাইনালে না খেলার কোন শঙ্কা আছে কী? জবাবে ছোটন বলেছেন, ‘এখনো দুইদিন সময় আছে ফাইনালের আগে। তাকে খেলানোর সবচেষ্টা আমাদের থাকবে। দেখা যাক কী হয়।’
আরও পড়ুন: ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ নেপাল!
টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে মালদ্বীপের বিপক্ষে গোল পাননি স্বপ্না, তবে গোল করিয়েছেন। পরের দুই ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে করেছেন ১ গোল এবং ভারতের বিপক্ষে জোড়া গোল। সেই ম্যাচেও তিনিই প্রথমে গোল করে লিড এনে দিয়েছিলেন দলকে। সেমিফাইনালে ভুটানের বিপক্ষে দ্বিতীয় মিনিটে গোল করেই দলকে এগিয়ে দিয়েছিলেন কিন্তু ইনজুরিতে মাঠ ছাড়তে হয় তার।
আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫.১৫ টায় নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে স্বাগতিক নেপালের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। আগের ৫ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ ও নেপাল ৩ বার মুখোমুখি হয়েছে। তিনবারই জিতেছে নেপালীরা।
১৯ সেপ্টেম্বর ফাইনাল ম্যাচটা তাই একটু বেশিই স্পেশাল বাংলাদেশের মেয়েদের জন্য। এই ম্যাচে জিতলে এক ঢিলে দুই পাখি মারা হবে বাংলাদেশের। প্রথম শিরোপা জয়ের সাথে বাড়তি আনন্দ হিসেবে যোগ হবে প্রথমবার নেপালকে হারানোর আনন্দও।