গতকাল ২৪ জুলাই (রোববার) সকাল থেকে ৪৩ তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা শুরু হয়েছে। ইংরেজি বিষয়ের মাধ্যমে সকাল ১০টায় শুরু হয়েছে পরীক্ষা, শেষ হয় দুপুর ২টায়। যথাযথ উপায়ে করোনা প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ কেন্দ্রে একযোগে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
শুরু হলো ৪৩তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা, চলবে ৩১ জুলাই পর্যন্ত!
এর আগে, গত ২০ জানুয়ারি ৪৩তম বিসিএসের প্রিলিমিনারী পরীক্ষার ফল ঘোষণা করা হয়। এতে লিখিত পরীক্ষার জন্য উত্তীর্ণ হন ১৫ হাজার ২২৯ জন প্রার্থী। আগামী ৩১ জুলাই পর্যন্ত পরীক্ষা চলবে।
বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) দেয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, ৪৩তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা (আবশ্যিক বিষয়) যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ কেন্দ্রে একযোগে পরীক্ষা চলবে।
পরীক্ষা হলে বই, ব্যাগ, মানিব্যাগ, হাতঘড়ি, মোবাইল ফোন, ক্যালকুলেটর বা ইলেকট্রনিক যোগাযোগযন্ত্র ইত্যাদি সামগ্রী আনা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। পরীক্ষার হলে প্রার্থীরা গহনা-অলংকার জাতীয় কিছু ব্যবহার এবং ক্রেডিট কার্ড/ব্যাংক কার্ড বা এ ধরনের কোনো কিছু বহন করতে পারবে না।
এছাড়া, পরীক্ষা হলে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়িয়ে চলার লক্ষ্যে হাজিরা তালিকায় প্রার্থীর রেজিস্ট্রেশন নম্বর জোড়-বিজোড় বিন্যস্ত করে এবং প্রতিটি রেজিস্ট্রেশন নম্বর কক্ষওয়ারী দৈবচয়ন ভিত্তিতে সাজিয়ে হাজিরা তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। দৈবচয়ন প্রক্রিয়ায় নিজ আসন ও কক্ষ চিহ্নিত করা কিছুটা সময় সাপেক্ষ। এ পরিপ্রেক্ষিতে, নিজ আসন এবং কক্ষ চিহ্নিত করার জন্য প্রার্থীদের পর্যাপ্ত সময় হাতে নিয়ে পরীক্ষা হলে উপস্থিত হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২৯ অক্টোবর আটটি বিভাগীয় শহরের ৩৬৯ কেন্দ্রে একযোগে অনুষ্ঠিত হয় ৪৩তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা। পরীক্ষায় অংশ নিতে আবেদন করেন চার লাখ ৪২ হাজার ৮৩২ চাকরিপ্রার্থী। এতে লিখিত পরীক্ষার জন্য উত্তীর্ণ হন ১৫ হাজার ২২৯ জন।