ক্রিকেটখেলাধুলা

শেখ মেহেদী বাদ পড়ায় আফসোস শ্রীরামের!

২০১৮ সালে টি-টোয়েন্টি দলে আসার পর মাত্র একবারই জাতীয় দল থেকে জায়গা হারাতে হয়েছিল মেহেদী হাসানকে। জাতীয় দলের হয়ে এই ৪ বছরে খেলেছেন ৩৮ ম্যাচ। ধারাবাহিকভাবে জাতীয় দলে খেললেও মেহেদীর জায়গা হয়নি এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলে। কারণ হিসেবে দলের নতুন টেকনিক্যাল কনসালটেন্ট শ্রীধরন শ্রীরাম জানালেন অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশনের কথা।

সেখানকার বাউন্সি উইকেট টাইগারদের জন্য বড়ো চ্যালেঞ্জ। তাই স্কোয়াডে বাড়তি পেসার থাকবে, সেটি অনুমেয়ই ছিল। সেকারণেই বাদ পড়তে হয়েছে মেহেদীকে। অফস্পিনের পাশাপাশি বড়ো শট খেলার দক্ষতাও রয়েছে যার।

তাছাড়া এশিয়া কাপে ওপেনিংয়ে নেমে সফল হওয়া মেহেদী মিরাজ ধারাবাহিকভাবেই ভালো করছেন স্পিনে। ব্যাটিং অলরাউন্ডার মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতও স্পিনটা ভালোই করছেন। এ দুজনই অফস্পিনার। বাঁহাতি স্পিনে আছেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও নাসুম আহমেদ।

আরও পড়ুন: আবারও বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব!

হাসান, তাসকিন, মোস্তাফিজ, ইবাদতের সঙ্গে বিশ্বকাপ দলে আরও আছেন পেস বোলিং অলরাউন্ডার সাইফউদ্দিন। ১৫ জনের চূড়ান্ত দলে বাড়তি পেসার নিতেই কমাতে হয়েছে স্পিনার।

শ্রীরাম এশিয়া কাপ থেকে বাংলাদেশ দলে যোগ দিলেও, অল্পদিনেই মেহেদীকে মনে ধরেছে তার। এই স্পিনারকে গুডবুকে রেখেছেন সেটি বোঝা গেল তার কথাতেই। দলে জায়গা দিতে না পেরে ভারতীয় এই কোচ আফসোসও করলেন মেহেদীর জন্য।

শ্রীরাম বলেন, ‘আমাদের মাত্র ১৫ জনকে বেছে নিতে হয়েছে। আমি মেহেদীকে পছন্দ করি। দলের অভূতপূর্ব এক চরিত্র সে। সে দলকে চাঙা করতে পারে। আমরা বিশ্বকাপে স্পিন সহায়ক কন্ডিশনে খেলব না। বাড়তি পেসারের দিকে আমাদের ঝুঁকতে হয়েছে। একজনকে বেছে নিতে হবে, মেহেদী-নাসুম খুব কাছাকাছিই ছিল। নাসুমকে নিয়েছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘ভারত, পাকিস্তানের মতো বড়ো দলের বিপক্ষে দুর্দান্ত ম্যাচে বাঁহাতি স্পিনই এগিয়ে ছিল। আমাদের আরও অফস্পিনার রয়েছে। এটা দুর্ভাগ্যজনক যে মেহেদীকে আমরা পাচ্ছি না। উপমহাদেশে খেলা হলে অবশ্যই প্রতিটি দলের জন্য সে দুর্দান্ত।’

Back to top button

Opps, You are using ads blocker!

প্রিয় পাঠক, আপনি অ্যাড ব্লকার ব্যবহার করছেন, যার ফলে আমরা রেভেনিউ হারাচ্ছি, দয়া করে অ্যাড ব্লকারটি বন্ধ করুন।