সম্পর্কে যেসব সংকেত পেলে সর্তক হওয়া উচিত!

প্রত্যেকটা সম্পর্কের শুরুর দিকে ভালো দিকগুলোই আমরা বেশি দেখি এবং এড়িয়ে যাই নেতিবাচক সংকেত বা রেড ফ্ল্যাগ। সম্পর্কের নেতিবাচক দিকগুলো বেড়িয়ে আসে সম্পর্কের বয়স বাড়ার সাথে সাথে। আর বিশেষজ্ঞদের মতে, এসব নেতিবাচক সংকেত পেলে দ্রুত সর্তক হওয়া উচিত। তো চলুন জেনে নিই, এমন কিছু সংকেত।
১| বিশেষজ্ঞদের মতে, সঙ্গী যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়ে এড়িয়ে গেলে তা একটি নেতিবাচক সংকেত। হোক সেটা কোথাও খেতে যাচ্ছে, অথবা ঘুরতে যাচ্ছে।
২| আপনার সঙ্গী যদি আবেগ নিয়ন্ত্রণ না করতে পারে, তবে সেটিই একটি নেতিবাচক সংকেত। কারণ সঙ্গী নিজের আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে আপনার অনুভূতি বুঝতে পারবে না। আপনাকে মূল্য দেবে না। এমন কারও সাথেই জীবন কাটানো উচিত যে আবেগ, রাগ, অভিমান, হতাশা সব বিষয়ে সচেতন।
৩| আপনার সঙ্গী যদি আপনাকে নিয়ন্ত্রণ করার মনোভাব প্রকাশ করে। তবে তা খুবই খারাপ সংকেত। সে হতে পারে আপনাকে বন্ধু নিয়ে খারাপ মন্তব্য করছে, সবসময় দোকান বা রেস্টুরেন্টে টাকা দিয়ে দেওয়া অথবা সব সময় আপনাকে টাকা দিতে বলা; টাকা নিয়ে অস্বস্তিকর কথা বলা; ফোন ধরতে দেরি হলে রাগ করা, আপনার একা সময় কাটানো অপছন্দ করা। এগুলো সবই নেতিবাচক সংকেত। তাই বড়ো আকার ধারণ করার আগেই সতর্ক হোন।
আরও পড়ুন# জন্মের সময় হাসপাতালে অদলবদল, বড়ো হয়ে তারাই হলো জীবনসঙ্গী!
৪| আপনার সঙ্গীর যদি কোনো বন্ধু না থাকে তাও একটি রেড ফ্ল্যাগ। কারণ তিনি এমন ধরনের মানুষ যে সবার সাথে মিশতে পারে না। ফলে তার বন্ধু নেই।
৫| নিজের মনের কথা যদি সঙ্গীকে খুলে না বলতে পারেন বা সংকোচ বোধ করেন। তাকে ভয় করেন। তবে সেটিও নেতিবাচক সংকেত।
৬| আপনার দুঃখ, চাওয়া বা প্রয়োজন নিয়ে নিরাপদে কথা বলতে না পারা। আপনার সঙ্গীর সাথে যেকোনো বিষয়ে কথা বলতে আপনার নিরাপদ বোধ করা উচিত। তা যদি না হয় তবে বিবেচনা করে দেখুন এমনটা কেন হচ্ছে।
৭| সব সময় সব পরিস্থিতিতে আপনার সঙ্গী যদি আপনাকে দোষ দেয় এবং নিজে কখনো ক্ষমা না চায়। এটিও একটা নেতিবাচক সংকেত। এমন হলে এই সম্পর্ক এক সময় বিষিয়ে ওঠবে।
৮| সমস্যা এড়িয়ে যাওয়া। খোলাখুলি আলোচনা করে যেকোনো সমস্যা সমাধান করে না নিলে সেই সম্পর্কে তিক্ততা চলে আসে।
৯| হুটহাট কোনো কারণ ছাড়াই যদি সঙ্গী রেগে যায় এবং আপনাকে মানসিক ও শারীরিক আঘাত করে।
১০| আপনার সাথে যদি সঙ্গী অতিরিক্ত যোগাযোগ করার প্রবণতা থাকে। সব সময় যদি তিনি আপনাকে তার সাথে কথা বলতে বলেন বা সাড়া দিতে বাধ্য করেন। তবে এটি একটি বড়ো নেতিবাচক সংকেত। এক সময় দেখা যাবে তিনি আপনার সব সময় তার জন্য বরাদ্দ করতে বলবেন। যা একেবারেই কোনো স্বাভাবিক বিষয় নয়। তাই আগে হতেই সতর্ক হোন।
যাই হোক, আজকের মতো এখানেই। আশাকরি এই আর্টিকেলটি ভালো লেগেছে। যদি এই আর্টিকেলটি আপনার ভালো লেগে থাকে তবে অবশ্যই অন্যদের সাথে শেয়ার করবেন এবং এই ধরনের আরও আর্টিকেল পেতে অনুলিপির সাথেই থাকুন।